২০১৮ সালের ৩ মার্চ ত্রিপুরায় কালো দিনঃ সিপিআই(এম)

২০১৮ সালের ৩ মার্চ ত্রিপুরায় কালো দিনঃ সিপিআই(এম)Featured Video Play Icon

২০১৮ সালের ৩ মার্চ ত্রিপুরায় কালো দিনঃ সিপিআই(এম)
২০১৮ সালের তিন মার্চকে কালো দিন বলে উল্লেখ করল সিপিআই(এম)।
২০১৮ সালের তিন মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ফলে টানা ২৫ বছরের বামশাসন শেষ হয়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি-আইপিএফটি জোট। বিজেপি দিনটি ‘মুক্তিদিবস’ বলে উদযাপন করে ত্রিপুরায়। জয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্তি।
সিপিআই(এম)’র ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ ত্রিপুরার ইতিহাসে একটি কালো দিন। দু’বছর আগে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। ত্রিপুরা জয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল আরএসএস এবং বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পুরো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসন সক্রিয় ছিল বিজেপির জয়ের জন্য।
তার অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকারকে হটানোর জন্য, ঢালা হয়েছে অঢেল টাকা, ব্যাপক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, মিডিয়াকে পুরোপুরি কিনে নিয়ে, প্রতিশ্রুতির বন্যা বিয়ে দেয়া হয়েছিল। ইলেকসন মেশিনারিকেও ব্যবহার করা হয়েছিল বামফ্রন্টকে হারাতে। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই গোটা ত্রিপুরায় আক্রমণ চলে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এখনো চলছে।
দু’বছরে ১৩ জন সিপিআই(এম) নেতাকর্মী খুন হয়েছে। একজন অভিযুক্তও গ্রেপ্তার হননি। ভয়ে ও আতঙ্কে আরও ১৫জন মারা গেছেন। ২১৭০ জন সিপিআই(এম) নেতাকর্মী শারীরিকভাবে আক্রন্ত হয়েছেন। ১০০২ জন নেতা কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বা লুট হয়েছে। দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১৮৩ জন বাম কর্মীর। ৩৪১ টি দোকান লুট হয়েছে। অগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১৪১টি সিপিআই(এম) অফিস। ভাঙচুর এবং লুট করা হয়েছে ৩২২টি অফিস। জবরদস্তি দখল করা হয়েছে ৬৯টি পার্টি অফিস। গৌতম মনে করেন, ত্রিপুরায় এখন গণতন্ত্র নেই, নেই আইনের শাসনের কোনও অস্তিত্ব। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। সাংবাদ মাধ্যমেরও স্বাধীনতা নেই। অঘোষিত জরুরী অবস্থা চলছে। সত্তর দশকের জরুরী অবস্থার সময়েও বিভিন্ন পত্রিকা প্রতিবাদ করেছে। এখন কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। আগরতলা প্রেসক্লাব আগে বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদ করত। প্রেসক্লাব জবরদখল করে প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছে, গৌতমের অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে মন্দির নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে পূর্ত দপ্তরে থেকে সম্প্রতি। এ বিষয়টি সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা গৌতম দাশ বলেছেন, সরকারি টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর আবাসে মন্দির তৈরি হলে আদালতে যাবেন তারা। কারন এ দেশ হিন্দু রাষ্ট্র না। এটা বেআইনি।

ভিডিওঃ অভিজিৎ
আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS