কোভিড ওয়ান নাইন ! ডাক্তার রাজেশ শোনাচ্ছেন অভিজ্ঞতা।

কোভিড ওয়ান নাইন !
সারা পৃথিবীতে গোলযোগ পাকিয়ে তুলেছে। শুধু যে মানুষকে অসুস্থ করে দিচ্ছে , তা নয়। স্বাভবিক জীবন বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি মানুষ কাজ হারানোর মুখে। অনেকের গেছেও। আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থা মনে করছে, আরও অভাবে ডুবে যাবেন বহু কোটি মানুষ। ভারতের মত দেশে এই ধাক্কা বড় বেশি। চল্লিশ কোটি মানুষের রোজগার ঝুঁকির মুখে।
ঠিক এই সময়ে যাদের স্বাভাবিকের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে, তারা স্বাস্থ্যকর্মী। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে , প্রতি দুইজনে দূরত্ব বজায় রাখতে, আর স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাইরাস আক্রান্তদের কাছে যাচ্ছেন। সেটা করতে তাদেরকে নিজের পরিবার থেকে দূরে চলে যেতে হচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে তার বাবাকে কাছে পাচ্ছে না, ছোট্ট ছেলেটি তার মা-কে দূর থেকেও দেখতে পারছে না।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে আলাদা করে যেমন রাখা হচ্ছে, ডাক্তার, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী সবাইকেই আলাদা থাকতে হচ্ছে, বাকী পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে। একটানা চিকিৎসা দিয়েও শেষ নেই, আবার তাদের যেতে হবে কোয়ারাইন্টাইনে। একা একা একটি ঘরে টানা ১৪ দিন। তারপর ! তারপর আবার ডাক এলে ঢুকে যেতে হবে আইসোলেসনে, চিকিৎসা দিতে হবে, আবার কোয়ারান্টাইন। জীবনের ঝুঁকি প্রতি মুহুর্তে। ভারতে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিতে দিতে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দেশে মারা গেছেন অনেক ডাক্তার। তাদের মধ্যে অনেকে আবার অবসর ভেঙে এই বিপদে এগিয়ে এসেছিলেন নিজের থেকে।

ডাঃ রাজেশ চৌধুরি। জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসক । আছেন কোভিড ওয়ান নাইন ট্রিট্মেন্ট টিমে। তিনজন ডাক্তার, দুইজন নার্স, এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মী দুইজন, সাতদিন টানা কাজ করে যাবেন। তারপর কোয়ারান্টাইন। মোট ২১ দিনের এক একটি টার্ম। এখন তিনি আছেন, ত্রিপুরার করোনা ভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায়। সেই আলাদা করে রাখা এলাকা থেকে ফোনে ইন্টারভিউ দিলেন দ্য প্লুরাল কলামকে।
কেমন করে সামলাচ্ছেন এই পরিস্থিতি, পরিবারের মানুষ কীভাবে কাটাচ্ছেন দিন ঘরের মানুষটিকে বাইরে রেখে, এভাবে বন্ধ জায়গায় থেকে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে কিনা, জীবনের ঝুঁকি , ভয় কতটা , এসবই ছিল ডাঃ চৌধুরির কাছে প্রশ্ন।
ডাক্তারবাবু শিল্পী মানুষ। গান গাইছেন সেইখানেও। যদিও ফোনে গাইলেন না, কথা দিয়েছেন পরে শোনাবেন।
প্রায় কুড়ি মিনিটের কথোপকথন, একটু ছোট করে দেয়া হল, কথায়-কথায় একটু সার্জারি আরকি !

( আগরতলা,ত্রিপুরা)

COMMENTS