কাঁটাতারের এদিকে-ওদিকে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা কখনই অন্য জায়গার মত নয়। সেখানকার স্বাভবিকতা, সারা বছরই অন্য-স্বাভাবিক।
লকডাউনের সময়ে একেবারে সীমান্ত লাগোয়া আগরতলার মানুষেরা অভিযোগ করেছেন ,তাদের ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। বিক্রি করতে পারছেন না। কেউ লকডাউনকে মেনে নিয়ে কষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
কাঁটাতারের অন্যদিকে যাদের বাড়ি, তারা ইচ্ছা করেলেই আসতে পারেন না অন্যদিকে, যেদিকে বাজার, হাসপাতাল, স্কুল। গেটে তালা দেয়া থাকে বাইরে থেকে। কাঁটাতারের বেড়ায় তারা সুরক্ষিত নন, বরঞ্চ তারা সীমান্তের দিক থেকে খোলা জায়গায়।
কোথাও কোথাও অভিযোগ, কাঁটাতার পার হয়ে জমি থেকে ফসল তুলে নিয়ে আনতে পারছেন না।
লকডাউনের আওতা থেকে কৃষিকাজকে ছাড় দেয়া হয়েছে, অন্তত ২০ দিন আগে। মার্চের ২৯ তারিখ ছাড় দেয়া হয়েছিল। কৃষিকাজে লাগে এমন জিনিসের দোকানও আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
সারা দেশেই এখন ফসল তোলার সময়। বৃষ্টির হবার সময়ও প্রায় হয়ে এল, হচ্ছেও কম-বেশি। ফসল না তুলে আনলে তা এমনিতেই নষ্ট হবে, জমি তৈরি করে না ফেলতে পারলে , পরের চাষ করা যাবে না। এখন মাঠে যে ফসল , সেটা বিক্রি না হলে, পরের চাষের জন্য টাকা পাওয়া যাবে না। কল-কারখানা বন্ধ, শ্রমিকরা রোজগারহীন। দেশকে এখন খাইয়ে রাখতে পারেন কৃষকরাই।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সরকারি আদেশও বেরিয়ে ছিল, কৃষকদের কাঁটাতার পারাপার করতে দেয়ার। সেই নির্দেশের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২০।
বিশালগড়ের ফুলচাষীর কাঁটাতার নিয়ে সমস্যা নেই, ফুল গাছেই রয়ে যাচ্ছে, বিক্রি করার জায়গা নেই।
( আগরতলা,ত্রিপুরা)
COMMENTS