প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫ এপ্রিল রাত নয়টায় নয় মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ-বাতি ব্যবহার বন্ধ রেখে, টর্চ, প্রদীপ,ইত্যাদি জ্বালিয়ে কোভিড-নায়েন্টিন সঙ্কটে সংহতি প্রকাশ করতে বলেছেন।
সংহতি প্রকাশের এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ পরিসেবা ক্ষেত্রে যুক্তদের বিশেষ ব্যবস্থা নি্তে হচ্ছে। আচমকা একসাথে সব লাইট বন্ধ করে দিলে লোড কমে যাওয়া অথবা একসাথে আবার সব জ্বলে উঠলে চাহিদা একসাথে অনেকটা বেড়ে যাওয়া , এই ব্যাপার সামাল দিতে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রক থেকে বিদ্যুৎ সচিবদের চিঠি দেয়া হয়েছে যে ন্যাশনাল লোড ডিচপ্যাচ সেন্টার কীভাবে ওই সময় পরিষেবা সামাল দেয়া যাবে, তা ঠিক করেছে।
সেই চিঠিতেই মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে, “ রাস্তার লাইট অথবা বড়িঘরে টিভি, রেফ্রিজেরেটর , এসি মেসিন বন্ধ রাখার কোনও ডাক নেই। চাহিদার যে তারতম্য হবে তা সামলাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা রাখতে হচ্ছে।“
বিষয়টি যে বেশ জটিল,তা বোঝাই যাচ্ছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “ মানুষকে আশ্বস্থ করা হচ্ছে যে তারা যেন বিচলিত না হন , এবং সব এপ্লায়েন্স স্বাভাবিকভাবেই চালিয়ে রাখেন।”
লাইট একসাথে বন্ধ এবং পরে জ্বালানো হলে চাহিদার তারতম্য নিয়ে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সেটা পরিস্কার। লাইট বন্ধ করা নিয়ে , মানুষ যেন বিচলিত না হন , এই বলা তা আরও বেশি করে সেদিকেই ইঙ্গীত করছে।
অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালিয়ে রাখা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ সেগুলি চালু থাকলে চাহিদা কিছুটা হলেও বজায় থাকবে।
তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রক বলেছে অনেকে মনে করছেন, গ্রিডে সমস্যা হবে, ভোল্টেজে ওঠা-নামা করবে,তাতে যন্ত্রপাতির ক্ষতি হবে, এই আশঙ্কা অমূলক।
বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ , বিভিন্ন রাজ্যেই আগাম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে তো বলা হয়েছে, মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানো হোক, তবে সেটা ইলেক্ট্রিক লাইট জ্বালিয়ে রেখেই, কারণ গ্রিডে সমস্যা হলে, এক সপ্তাহ লেগে যাবে আবার চালু করতে।
পরিবাহীতে নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সি বজায় রাখার বিষয় আছে পরিসেবা স্বাভাবিক রাখতে, অতি চাহিদা এবং খুব কম চাহিদা ট্রিপ করিয়ে দিতে পারে ব্যবস্থাকে।
সামাজিক মাধ্যমে কিছু উৎসাহী অবশ্য পোস্ট দিয়ে আবেদন রেখেছেন, ওই সময় যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধই রাখা হয়, তাহলে বাতি নিভে থাকবেই।
COMMENTS