ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার শহরের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্তদান শিবিরের আয়োজন বন্ধ রেখেছে উদ্যোক্তারা। ডিওয়াইএফআই, এসএফআইসহ চারটি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন এই শিবির আয়োজন করেছিল।
চারটি সংগঠনের পক্ষে ডিওয়াইএফআই নেতা নবারুন দেব অভিযোগ করেছেন, অ্যালবার্ট ক্লাবের পাশে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্তদান শিবির হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুন। ১৩ জুন দুপুরে বিজেপি কর্মীরা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সামনে , আশে-পাশে তাদের দলের প্রচুর পতাকা লাগিয়ে দেন। হুমকিও দেন।
রক্তদান শিবিরের ঘোষণা দিয়েও, তা এরকমভাবে বন্ধ রাখার ঘটনা ত্রিপুরাতে শোনা যায় না সাধারণত। স্বেচ্ছায় রক্তদানে ত্রিপুরার যথেষ্ট নাম আছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, “ ডি ওয়াই এফ আই পটুনগর অঞ্চল কমিটি ১৪ জুন রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত করতে নতুননগর উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয় পাওয়ার আবেদন জানায়। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর তার অনুমোদন দেয়নি। দফতর থেকে জানিয়ে দেয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে অনুমোদন দেয়া হয়নি।“
“ নতুননগর উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির করার জন্য এয়ারপোর্ট থানার অনুমতি নেয়া হয়েছিল, কিন্তু স্কুলটিতে করার অনুমতি না পাওয়া যাওয়ায়, শিবিরটি নতুননগরের সিপিআই(এম) পার্টি অফিসে সরিয়ে আনা হয়। পার্টি অফিসের এলাকা রামনগর আউটপোস্টের আওতায়। সেখানে অনুমতির জন্য গেলে, বলে দেয়া হয় চব্বিশ ঘন্টা আগে না জানানোয়, অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না, “ বলেছেন নবারুন।
পরে তারা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নবারুন। বামপন্থী ছাত্র-যুবরা লকডাউন সময়ে অন্তত পাঁচশ ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করেছেন বলেও তার দাবি।
লিখিত বিবৃতিতে চার সংগঠনের পক্ষে উদয়পুরে রক্তদানের জন্য টাউন হল চেয়ে না পাওয়া, এবং একটি ছয় বছরের শিশুর রক্তের অভাবে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
আগরতলায় রামনগরে রক্তদান শিবিরে বামপন্থী নেতা-কর্মীরা ৩১ মে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ বিজেপি’র দিকে। বিজেপি আবার পালটা অভিযোগ করেছে, রক্তদান শিবিরের আড়ালে রাজনৈতিক মিটিং চলছিল। তাদের এক নেত্রী অভিযোগ করেছেন, তিনি সেখানে ভীড় দেখে শিবিরে গিয়েছিলেন, এবং ‘লকডাউনে কী করে রক্তদান শিবির’ জিজ্ঞাসা করতেই তাকে আক্রমণ করা হয়। এসএফআই রাজ্য সম্পাদকসহ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
দুই তরফেই থানায় মামলা হয়েছে।
রক্তদান শিবিরে বাধা দেয়ার ঘটনা আগেও হয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, যিনি এই সরকারের আমলে বছর খানেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন, কড়া ভাষায় সামাজিক মাধ্যমে ওই আক্রমণের নিন্দা করেছেন।
ত্রিপুরায় রক্তের অভাব চলছে। ব্লাডব্যাঙ্কগুলি রক্তের অভাবে ভুগছে। রক্ত পেতে বেশ বেগই পোহাতে হচ্ছে।
COMMENTS