গতকাল করোনায় মৃত্যু হয়েছিল আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে চারজনের। তার মধ্যে এক মৃতের পরিবার লোকজন অভিযোগ করেছেন, তারা মৃত ব্যাক্তিকে শেষবারের মতো দেখতে পারেননি। এমনকি সকালে মারা গেলেও ম্রদেহ রাত পর্যন্ত ছাড়া হয়নি। যিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি নিজেকে মৃতের শ্যালক বলে দাবি করেন। তাদের অভিযোগ তাদের না জানিয়েই শ্মশানে নিয়ে শেষকৃত্য করা হয়েছে করোনায় মারা যাওয়া মানুষটির।
আজ সকালে জিবিপি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। তিনি ঐ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। তিনি বলেছেন, মৃত ব্যাক্তিকে যখন শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় তখন বাড়ির লোকজনদের শ্মশানে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা যাননি। দেরীতে গেছেন। পরে এটাকে ইস্যু করে বাইরের কিছু লোকজন এসে হাসপাতালে হুজ্জতি করেছে। ইচ্ছা করে এ কাজ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ সন্ধ্যায় মহাকরণে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভগৎ সিং কোভিড কেয়ার সেন্টারে ডাক্তারের গায়ে থুতু ছেটানোর ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা করা হবে। তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।
সকালে খোয়াইয়ের সোনাতলা কোভিড কেয়ার সেন্টারে বিক্ষোভ দেখান রোগীরা। তারা এক সময় সেন্টারের বাইরে চলে আসেন। ছুটে যান মহকুমা শাসক। তিনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করে। রোগীদের অভিযোগ নিম্ন মানের খাবার দেয়া হচ্ছে তাদের। সময় মতো পরিষ্কার হচ্ছে না। সেন্টারের। চিকিৎসকদের নিয়েও তারা তাদের অভিযোগ জানিয়েছেন।
সিপাহীজলার জিলাধিপতি বলেছেন তিনি কোভিড পজিটিভ। তার এন্টিজেন টেস্ট হয়েছিল তাতে তার পজিটিভ ধরা পড়ে। এই জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার গতকালই কোভিড পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন।
COMMENTS