“সরকারকে এই কঠিন সময়ে নিজের দায়িত্ব পালনের সময় দেয়ার প্রয়োজন আছে, এই আদালত মনে করছে, সরকারের কাছে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সামলানোর বিষয়ে, বিশেষত যারা পজিটিভ তাদের চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আদালতের খোঁজ নেয়ার সময় এসেছে।“
ত্রিপুরা হাইকোর্ট কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে।
ত্রিপুরায় করোনা রোগীর জন্য ১৯ ভেন্টিলেটর আছে, আর তার সবগুলিই আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে । তার মানে, কোভিড আক্রান্ত যারই ভেন্টিলেটরের দরকার হবে, তাকে নিয়ে আসতে হবে আগরতলায়। দূরের কোনও জায়গা থেকে আচমকা যদি কারও প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তবে তাকে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সরকারের দেয়া তথ্য থেকেই ত্রিপুরা হাইকোর্ট এই দেখতে পেয়েছে।
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী, সম্ভব হলে জেলা ভিত্তিক হিসাব, করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রের সংখ্যা , কোথাও কোথাও পুরো পরিকাঠামো আছে, ডাক্তার-প্যারামেডিক আছেন , সেই হিসাব, কোনও বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হচ্ছে কিনা, যদি দেয়া হয় তবে রোগীদের থেকে কতটাকা নেয়া হবে, তা বেঁধে দেয়া, করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে দেয়া টাকার হিসাব, প্রতিটি কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্রে কত চিকিৎসক-প্যারামেডিক্যাল কর্মী আছেন, প্রয়োজন কত এবং কীভাবে এই হিসাব করা হয়েছে , সেসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন যন্ত্র, পিপিই কিট, এসব তথ্যও দিতে হবে। তাছাড়া, রোগীর পরিবার যে খবর পাচ্ছেন না, সেই ব্যাপারে কী করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। ১৮ সেপ্টেম্বরের আগে হলফনামা দিয়ে এসব জানাতে হবে সরকারকে।
পত্রিকায় কোভিড রোগীদের ও তাদের পরিবারের নিয়ে বের হওয়া খবর আদালতের চোখে পড়েছে। আদালত শুধু খবরের কাগজের উপরই নির্ভর করেনি, নিজেও সরকারি তথ্য দেখেছে।
আদালতের কাগজে রাজ্যে ১৯ ভেন্টিলেটর থাকার সরকারি তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে সরকারী প্রেস ব্রিফিং-এ বলা হয়েছিল ২০ ভেন্টিলেটর কেনার অর্ডার দেয়া হয়েছে, এমনকী ১০০ বেডের আইসিইউ চালুর ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল।
উত্তরপূর্বাঞ্চলে ত্রিপুরাতেই মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি , সেটা এক শতাংশ গতকাল পর্যন্ত।
COMMENTS