ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’র ডাকা বার ঘন্টার ত্রিপুরা বনধে সাড়া মোটামুটি। কয়েক জায়গায় বিজেপি-কংগ্রেস ঝামেলা। কৈলাশহরে টিয়ার সেল চলেছে।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’র ডাকা বার ঘন্টার ত্রিপুরা বনধে সাড়া মোটামুটি। রাজধানী আগরতলায় দোকানপাট বিশেষ খুলেনি। কিছু কিছু গাড়ি-অটোরিক্সা চলছে। মোটত বাইক চলছে। যদিও কংগ্রেস দাবি করেছে, গত পঞ্চাশ বছরে এমন বনধ হয়নি।

বনধ ভাঙতে সরকারি কর্মচারীদের কাজের জায়গায় উপস্থিত হওয়ার ফরমান জারি হয়েছে,  এমনকী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকা স্কুলেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

 

কংগ্রেস তাদের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই বনধ ডেকেছে। সাথে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ, ইত্যাদি জুড়ে দিয়েছে।

 

শাসক বিজেপি গত সন্ধ্যায় বলেছে, তাদের কর্মীরা বনধ আটকাতে রাস্তায় নামবে না, রাস্তায় নামার মত শক্তি কংগ্রেস নয়। প্রদেশ বিজেপি’র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এই বলেছিলেন।

 

তবে আগরতলায় যেমন বিজেপি’র লোকজন নেমেছেন বনধ আটকাতে,  রাজ্যের অন্য জায়গাতেও। কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন কয়েক জায়গায়।

 

উদয়পুরে পুলিশ দুই বিজেপি কর্মীকে তুলে থানায় নিয়েছিল, বিজেপি’র চাপে ছেড়ে দিয়েছে।

 

অবশ্য বিজেপি প্রকাশ্যে কোনও সভা করবে না, ইত্যাদি ঘোষণা দিয়েও দল-বদল,ইত্যাদি চালিয়েই গেছে, এমনকী লকডাউনে অফিস ঘরের ‘ভূমিপূজা’ করেছে, মাস্কহীন মুখেই ছিলেন অধিকাংশজন। তাদের সেবাসপ্তাহের অনুষ্ঠানেও শারিরীক দূরত্বহীন  অবস্থানের ছবি আছে। আজও বনধ বিরোধী স্লোগান দেয়ার সময় বিজেপি কিছু কর্মীকে মাস্কহীন দেখা গেছে।

মাস্কহীন দেখা গেছে কিছু কংগ্রেস কর্মীদেরও।

 

অমরপুরে  আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীরা দুই গাড়ি বোঝাই হয়ে তিন  পুলিশ অফিসারের সামনেইকংগ্রেসের ফ্লেগ ফ্লেস্টুন ফেলে দেয়  বলে অভিযোগ।

 

কৈলাশহরে বিজেপি-কংগ্রেস মুখোমুখি হয়ে ইট-বোতল উড়েছে  দুই তরফে। পুলিশ টিয়ার সেল ফাটিয়েছে। কয়েকজন আহত আছেন।

 

অবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণেই আছে।

COMMENTS