বামপন্থীদের সারা দেশে ডাকা ধর্মঘটে উত্তর-পূর্ব ভারতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, লিখেছে আইএএনএস।
তারাই জানাচ্ছে, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব থেকে কৃষকরা নিজেদের দাবি নিয়ে পিছু হটেনি। দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে তারা এসে ছিলেন, পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন র্যালি করেন , তখন কোভিড’র সমস্যা না হলে, তাদের জন্য কেন হবে ! ছয়মাস পরে এমনিতেই তারা মারা যাবেন, না হয় এখন মারা যাবেন।
ত্রিপুরায় আক্রান্ত হল সিট্যু’র ত্রিপুরা রাজ্য দফতর।আগরতলার অফিস লেনের সিট্যু অফিসের সাইনবোর্ড ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিপিআই রাজ্য দফতর আক্রান্ত হয়েছে সকালে। সন্ধ্যায় সিপিআই নেতা বিক্রমজিৎ সেনগুপ্ত আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসইউসিআই অফিস আগরতলায় আক্রান্ত হয়েছে। সাব্রুমে সিপিআই(এম)-র অন্তত চারটি অফিস আক্রমণের মুখে পড়েছে। কোথাও আগুন দেয়া হয়েছে।
ত্রিপুরায় গত দশ-বারো দিন ধরেই কোথাও না কোথাও বনধ, রাস্তা অবরোধ চলছে। কাঞ্চনপুরের লাগাতর বনধের জেরে দুইজন মারা গেছেন। একজন রাস্তা অবরোধকারী পুলিশের গুলিতে, গণপিটুনির জেরে একজন সরকারি কর্মচারী। তারপর ধলাইয়ের ছাওমনুতে একজন গাড়ি চালক আক্রমণের মুখে পড়েছেন। পশ্ছিম জেলার হেজামারায় গাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। বরযাত্রীর গাড়িও বাদ পড়েনি।
ত্রিপুরার আজ বিভিন্ন জায়গায় বনধের প্রভাব পড়েছে। রাজধানীতেও স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়েছে। অনেক জায়গাতেই দোকান খোলেনি। যাত্রীবাহী গাড়ি বিশেষ চলেনি। আগরতলায় পর কোথাও কোথাও দোকান খোলানোর চেষ্টা হয়েছে।
সূর্যমনি নগরের বিজেপি বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল’র নেতৃত্বে আগরতলায় বনধ’র বিরোধিতায় স্কোয়াড বের হয়েছে।
COMMENTS