করোনাঃ এক বছরের জেল হতে পারে–ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী । বিজেপি সচেতনতার লিফলেট দিল। সমাবেশ বন্ধ হলেও পাগলিমাসির উৎসব চলছে ।

করোনা ভাইরাস নিয়ে বিধি-নিষেধ না মানলে, আইন পাশ করানো আছে, এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কড়াভাবে সেটা মানা হবে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী  বিপ্লব কুমার দেব   রাতে হাঁটতে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন।

 

ত্রিপুরায় ধারা  ১৪৪ জারি, সমাবেশ, সিনেমা হল, স্যুইমিং পুল, ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে করোনা আটকাতে।

 

বিজেপি করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের লিফ্‌লেট বিলি করেছে। আগরতলার অন্যতম ব্যস্ত জায়গা বটতলায় সদর বিজেপি নেতা অলক ভট্টাচার্যকে দেখা গেছে কাগজগুলি দিতে । সেখানে বটগাছ চত্বরে সার দিয়ে পর পর বসা মানুষজন, তাদের দিয়েছেন তিনি, দিয়েছেন পথ চলতিদের। বিজেপি সকালের দিকেই ঘোষণা দিয়েছে, ৭২ ঘন্টায় ত্রিপুরার প্রতিটি মানুষের কাছে এই কাগজ পৌঁছে দেবে। অলক অবশ্য একজন পেয়ে গেলে ‘জেরক্স’ করে আরও কয়েকজনকে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় জোরদার প্রচার চোখে পড়েনি এখনও, যদিও আইসোলেসন ওয়ার্ড করা, ইত্যাদি করা হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগেই। আগরতলা দেশের একটি করোনা ভাইরাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারও।

 

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ত্রিপুরায় ‘মাস গেদারিং/পাব্লিক মিটিং’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এমনকী কিছু কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেয়ার  খবরও আছে।  ধারা ১৪৪ জারি করে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা বেআইনি করে দেয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, বাজারেরও একসাথে এক/দু’জনের বেশি না থাকতে।

সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘরে ঘটা করে চলছে পাগলি-মাসীর উৎসব। থিক থিক করছে ভীড়। করোনা ভাইরাস আটকাতে এক থেকে আরেকজন  দূরে থাকার কথা, কারণ একজনের মুখ দিয়ে, শ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা ‘ড্রপলেট’ ব জলকাণা আরেকজনের শ্বাসের  সাথে ঢুকে গেলেই বিপদ। সেখানে যেভাবে গা-গেদাগেদি, স্বাস্থ্যবিধিতে তা নেই।

COMMENTS