তিন এনএলএফটি ক্যাডার দুই পিস্তল, পাঁচশ আটাশ গুলি রেখে স্বাভাবিক জীবনে

তিন এনএলএফটি ক্যাডার দুই পিস্তল, পাঁচশ আটাশ গুলি রেখে স্বাভাবিক জীবনে

এনএলএফটি উগ্রপন্থী দলের তিনজন দক্ষিণ ত্রিপুরার মহারানীছড়া বর্ডার সিক্যুরিটি ফোর্সের ঘাঁটিতে অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএসএফ ডিআইজি রাকেশ রঞ্জন লাল তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করান। জমা পরেছে দু’টি পিস্তল, ৫২৮ খানা গুলি।

সন্ন কুমার ত্রিপুরা ( ২৯), জর্মরাম ত্রিপুরা( ২২) এবং সুধারাম রিয়াং ( ৩৮) এনএলএফটি(বিএম) দলের পরিমল দেববর্মা গ্রুপের, তারাই আত্মসমর্পণ করেছেন। প্রথম দু’জনের বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার ছোট সাকবাড়ির, অন্যজন উত্তর ত্রিপুরার আনন্দবাজারের। সন্ন কুমার ২০১৬ সালে সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বান্দরবনের থাঞ্চি এলাকায় অস্ত্র প্রশিক্ষন নেন। জর্মরাম ও সুধারাম বছর দেড়েক আগে এনএলএফটি-তে যোগ দিয়েছিলেন। বিএসএফ জানিয়েছে।

 

ত্রিপুরায় একসময়  সন্ত্রাসবাদীরা প্রচুর হিংসাত্বক কাজ করেছে। গ্রাম-পাহাড়ের উন্নতি প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল। দীর্ঘ বাম আমলে সন্ত্রাস ধীরে ধীরে কমে আসে, এবং সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী কাজ বন্ধ হয়ে যায়।পাশের দেশ বাংলাদেশে মূল আস্তানা  গেড়ে এসব কাজ চালাত উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারও একসময় তাদের বিরুদ্ধে নামে। এখন সামান্যই কিছু ক্যাডার আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়ে গেছেন। ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদী কাজ কমে যেতেই রাস্তা-ঘাট নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে চোখে পড়ার মত।

COMMENTS