আদালত চত্বরে আইনজীবী হেনস্তাঃ ২৯ অক্টোবরে আদালতকে বলা কথা অস্বীকার করলেন পুলিশ অফিসার, সেই আদালতেই

আদালত চত্বরে আইনজীবী হেনস্তাঃ ২৯ অক্টোবরে  আদালতকে  বলা কথা অস্বীকার করলেন পুলিশ অফিসার,  সেই আদালতেই

সেদিন তদন্তকারী অফিসার আদালতকে বলেছিলেন, তার উপরের মহলের জন্য আসামীকে হেফাজতে নেয়ার আবেদন করতে পারেননি।
আদালতের অর্ডার কপিতে লেখা হয়েছে সেটা।
আজ সেই তদন্তকারী অফিসার সেই আদালতকেই বলেছেন, সেদিন তেমন কিছু বলেননি।

মনে হচ্ছে যেন আদালত অর্ডার কপিতে মিথ্যা কথা লিখেছে ২৯ অক্টোবর!
আজ আদালতের অর্ডার কপিতে বলা হয়েছে, এই বিষয়টি আলাদা করে দেখা হবে।

আগরতলায় জেলা আদালত চত্বরে দুই আইনজীবীকে হেনস্তা করা হয়েছে ২৮ অক্টোবর। সেই মামলাতেই এইসব। ত্রিপুরায় নজিরবিহীন এই ঘটনা নিয়ে, নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে চলেছে।

দুই ধর্মের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হওয়া দম্পতির স্বামীর পক্ষে কেন দাঁড়ালেন আইনজীবীরা, এই কারণ দেখিয়ে হেনস্তা করেছে উগ্র-হিন্দুত্ববাদী দুস্কৃতীকারীরা, বলেছেন সারা ভার‍ত আইনজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক হরিবল দেবনাথ।
ঘটনাস্থল থেকে সুশান্ত মোদক নামে একজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন একটি মিস্ক কেস দিয়ে আদালতে পাঠায়, আদালত পুলিশের তদন্তকারী অফিসারকে ডাকেন। তিনি আদালতে বলেন, তার উপরমহলের বাধ্যবাধকতায় আসামীকে হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেননি। তিনি একটি ফরোয়ার্ডিং’র ডেচপাচ নম্বরও বলেন। যেহেতু পুলিশ সুশান্ত মোদকের বিরুদ্ধে সেসব আইনজীবীদের হেনস্তা, ইত্যাদি কিছু বলেনি, সেই মামলাতেই তাকে আদালতে আনা হয়নি। সুশান্ত ২৯ অক্টোবর খালাস হয়ে যান।
আইনজীবী হেনস্তায় মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে ২ নভেম্বর রিপোর্ট দিতে বলেছিল আদালত।

২৮ নভেম্বর রাতে থানা ঘেরাও করে সুশান্তকে ছাড়িয়ে আনতে হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দেয়া হয়। পুলিশকে গাল দেয়া হয়।

অভিযোগকারীদের পক্ষে আইনজীবীরা এই তদন্তকারী অফিসার দিয়ে সত্যনিষ্ঠ তদন্ত হবে না বলেছেন। আদালত সেই আপত্তি যে করা যায়, তা নিয়ে একটি অন্য মামলারও উল্লেখ করেছে।
তদন্তকারী অফিসারের মধ্যে দ্বিচারিতার বিষয় দেখেছে আদালত।

যে আইনজীবীদের হেনস্তা হয়েছে, তাদের জবানবন্দী যা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেটা নিয়েও আপত্তি আছে তাদের আইনজীবীদের।
আইনজীবী প্রসেঞ্জিত দেবনাথ পুলিশ অফিসরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি রেখেছেন।

আগামীকাল কেস ডায়েরি, সেই ডেচপ্যাচে থাকা কাগজ, এসব সকাল দশটায় আদালতে জমা দিতে হবে।

” এমন অভিজ্ঞতা আমার এত বছরের আইনি পেশার জীবনে নেই। আদালতকেই ব্লেম করা হচ্ছে। অবমাননা করা হচ্ছে আদালতকে। এই অফিসারের বিরুদ্ধেই তদন্ত করা দরকার,” মন্তব্য করেছেন রঘুনাথ মুখোপাধ্যায়।

অ্যাডিসনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র আদালতে আছে বিষয়টি

COMMENTS