জিবিপি হাসপাতালে বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে দুর্ব্যবহার পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজারের বিধায়ক।
চার-পাঁচ বিধায়ক, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন, বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল, সুশান্ত চৌধুরি, আশিষ সাহা দৌড়ে যান। রাতের ঘটনা।
তারা সবাই শাসকদল বিজে[পি’র বিধায়ক।
শেষে শোনা গেছে, ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি শেষ করা হয়েছে।
আগরতলার জিবিপি হাসপাতাল ত্রিপুরার প্রধান হাসপাতাল।
কিছুদিন আগে সুদীপ রায় বর্মন গভীর রাতে জিবিপি হাসপাতালে গিয়ে ছিলেন। কোভিড ওয়ার্ডে অক্সিজেন সাপ্লাই কমে গেছে, এই খবর পেয়ে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিলেন, সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন তিনি ।
সে নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ ‘অজ্ঞাত পরিচয়’ দুস্কৃতীকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দুই ডাক্তারকে সিআইডি ডেকে নিয়ে গেছে একাধিকবার।
বিজেপি’র দুই পক্ষে কথা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে।
সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সেসময় রাতে জিবিপি হাসপাতালে যাওয়াকে ব্যাক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি বলেছিলেন্।
ইঞ্জিনিয়ার অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়া কথা বলেন। তাকে রাজনীতিতে না জড়াতে বলেন।
বিজেপি’র ভেতরের গণ্ডগোল এখন প্রায় বাইরে এসেই গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী দিন দুই আগে এক দলীয় সভায় বলেছিলেন, সব শয়তান এক হয়ে গেচলে, বুঝতে হবে রাজার পথ ঠিক আছে।
বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরি সামাজিক মাধ্যমে কারও নাম না করে লিখেছেন যে স্বদলীয় বিধায়ক-নেতৃত্ব ও কার্যকর্তারা যদি শয়তান হয়, তবে কে স্বঘোষিত রাজা !
“গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে কার্য্যকর্তাদের উদ্দেশ্য দলীয় অসংবিধানিক ভাষণ ক্ষমার অযোগ্য ( এসআআইসি)” লিখেছেন আরেক বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল।
দুর্গাপূজার আগে বিজেপি’র বেশ কিছু বিধায়ক দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন সেখানে থেকে বিজেপি প্রধান’র সাথে দেখা করে ফেরেন ত্রিপুরায়।
তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব কুমার দেবকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন, এই ছিল সংবাদমাধ্যমে প্রচার।
COMMENTS