বন্দুকের মুখে অপহরণ করা হয়েছে তিনজন অপহৃত। আমবাসার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত গঙ্গানগর থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সীমান্ত-বেড়ার কাছে তারা যুক্ত ছিলেন।
সুভাষ ভৌমিক, তিনি কাজের ম্যানেজার। তার বাড়ি উদয়পুরে। সুবল দেবনাথ। বাড়ি বিশালগড়ে। তিনি নির্মাণ সংস্থার জেসিপি চালক। এবং তৃতীয় জন হলেন গণপতি ত্রিপুরা। তার বাড়ি গণ্ডাছড়া মহকুমার মালদা কুমার পাড়াতে। তারা অপহৃত হয়েছেন।
আমবাসার এসডিপিও আসিস দাশগুপ্ত প্রশ্ন শুনে বলেছেন, তিনি সন্ধ্যায় মালদা কুমার পাড়াতে আছেন।
ধলাই জেলার পুলিশ সুপারকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
গঙ্গানগরে বিএসএফের ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন রয়েছে। বিওপি থেকে ঘটনাস্থল খুব বেশি দূরে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গঙ্গানগর। এইসব এলাকা এক সময় সন্ত্রাসবাদী মুক্তাঞ্চল ছিল।
দীর্ঘ কয়েক দশকের সন্ত্রাসবাদী কাজ থেমে ছিল। ২০০৫ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে কমতে সব জায়গাতেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসে ছিল। গত কিছুদিন ধরে নানান জায়গায় সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে।
দ্য প্লুরাল কলাম খবর করেছিল, ত্রিপুরার একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন চাঙ্গা হতে চাইছে, বেশ কয়েকজন ওপারে প্রশিক্ষণ শেষে রাজ্যে ঢোকার অপেক্ষায়।
বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, একটি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে ‘প্রভাবশালী মহল’র প্রভাবের অভিযোগ এনে ছিলেন।
সিপিআই(এম) বলেছে, দামছড়া থেকে অপহৃত গ্রামবাসীকেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তার মধ্যে আমবাসা মহকুমার সীমান্ত থেকে তিন জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটল। অপহৃতদের উদ্ধারে এবং অপহরণকারীদের খুঁজে বের করতে সমস্ত প্রকার ব্যবস্থা নিতে এবং অপহৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সিপিআই(এম) রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
COMMENTS