ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত সাংবাদিক

ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত সাংবাদিক

আক্রান্ত সাংবাদিক !

স্যন্দন পত্রিকা’র ফটোজার্নালিস্ট পেশাগত কাজে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ নিয়ে কোনওরকমে পালিয়ে এসে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রাণগোপাল আচার্য।

আরও দুই সংবাদমাধ্যমের দুই সাংবাদিকও আক্রমণের মুখে পড়েছেন বলে খবর।

খয়েরপুরে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে তিনি খবর আনতে বেরিয়ে পড়েছিলেন।

“ দুপুর সাড়ে বারটা-একটার সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতেই একদল সশস্ত্র দুস্কৃইতীকারী ঘিরে ধরে প্রচণ্ড মারধর করে আমাকে।” পুলিশকে লিখেছেন প্রাণগোপাল। বোধজংনগর থানায় তিনি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

রাজধানী আগরতলার শহরতলি খয়েরপুরে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য পবিত্র কর’র বাড়িতে ডিওয়াইএফআই’র একটি সভা ছিল, সেখানে শাসক দল আশ্রিত দুস্কৃতীকারীরা আচমকা হামলা চালিয়ে বাইক ভাঙচুর, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের আহত করেছে বলে পবিত্র কর অভিযোগ এনেছেন।

সেই ঘটনার খবর আনতেই সাংবাদিকরা গিয়েছিলেন।

ত্রিপুরায় সাংবাদিককে আক্রমণ করা প্রায় প্রতিদিনের ঘটানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েকমাসে অনেকগুলি ঘটনা হয়েছে। স্যন্দন পত্রিকারই সাংবাদিক , আমবাসার পরাশর বিশ্বাস যেদিন কোভিড মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন, সেদিনই রক্তাক্ত হন।

নভেম্বর মাসে উদয়পুরে প্রতিবাদী কলম’র হাজার হাজার কপি নষ্ট করা হয়, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ২৬ নভেম্বর বক্সনগরে এক সাংবাদিক বনধের ছবি তুলতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন সাংবাদিকরা।

অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস নামে সাংনাদিকদের সংগঠন এইসব বিষয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন। কার্যকর কিছু হয়েছে বলে জানা নেই, অন্তত সাংবাদিককে আক্রমণ বন্ধ হয়নি।

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সাব্রুমে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমকে ‘মাফ’ না করার হুমকি দিয়েছেন, তারপর থেকে সাংবাদিককে আক্রমণ বেড়ে গেছে বলে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস নানা সময়ে অভিযোগ এনেছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস বলেছিল, অনেক আক্রমণের ঘটনাতেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা জড়িত। মুখ্যমন্ত্রীকে তারা ‘মাফ’ না করার মন্তব্য ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছিলেন, তা হয়নি। গান্ধী জয়ন্তীতে তারা কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি বলে তারা মন্তব্য করেছেন।

কমলপুর প্রেসক্লাব পত্রিকার কপি পোড়ানোর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সফর বয়কট করেছিল।

 

COMMENTS