বদলে গেল বড়মুড়ার নাম

বড়মুড়ার নাম এখন থেকে ‘হাতাই কতর’। ৪২-তম ককবরক দিবস উপলক্ষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

বড়মুড়া ত্রিপুরার একটি পাহাড়। রাজধানী আগরতলার কাছে ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের বুকে জেগে আছে আই পাহাড়। ককবরক ত্রিপুরার আদিবাসী বিশেষত ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের মানুষের মাতৃভাষা। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ত্রিপুরার প্রথম বামফ্রন্ট সরকার এই ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা দেয়।

রবিবার ৪২ তম ককবরক ভাষা দিবস পালিত হল ত্রিপুরা জুড়ে। রাজ্য ভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার উমাকান্ত একাডেমী প্রাঙ্গণে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ককবরক ভাষায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে সাংবাদিকদের জানান, ককবরক দিবসে ককবরকে বক্তব্য না রাখতে পারা অন্যায়। কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন তিনিও যেটা বক্তব্য পড়েছেন সেটা সবটা বুঝে পড়তে পারেন নি। তিনি ঘোষণা দেন এখন থেকে বড়মুড়া পাহাড়ের নাম হাতাই কতর। ককবরক ভাষাকে সম্মান জানাতেই রাজ্য সরকার বড়মুড়া পাহাড়ের নাম ঐ ভাষাতে করেছে বলে তিনি জানান।

 

 

 

তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, উপজাতি উন্নয়নে কেন্দ্রের কাছে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি চাওয়া হয়েছে। রিয়াং শরণার্থীদের ত্রিপুরায় রাখতে ৬০০ কোটি টাকা কেন্দ্র দেবে। এডিসি’র আসন সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করার জন্য বিধানসভায় বিল আনা হয়েছে। ৪২টি দপ্তর এডিসির হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১ লখ ৩০ হাজার উপজাতি মানুষকে জমি চিহ্নিত করে পাট্টা দেয়া হবে। জনজাতিদের উন্নয়নে শিক্ষা স্বাস্থ্য, পানীয় জল প্রভৃতি দিকে নজর দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপজাতি উন্নয়নের রিপোর্টকার্ড হাতে নিয়ে বিধায়করা মানুষের কাছে যাবেন। তাতে মানুশ জদি সন্তুষ্ট হয় তাহলেই ভোট দেবেন। না হলে অন্য কাউকে দিতে পারেন।

মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র আছে। জার উদাহরণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন মিছিল সভা করার অনুমতি চেয়েছে তার ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে সরকার।

ককবরক দিবস উপলক্ষে উমাকান্ত মাঠ থেকে বের হয় একটি সুদৃশ্য র‍্যালী। যা শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুড়ে আবার উমাকান্ত মাঠে এসে শেষ হয়। এখানের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা হাজির ছিল। ছিলেন, রাজস্ব মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, সমাজ কল্যাণ সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।

ভিডিও ব্যবস্থাপনায় অভিজিৎ

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS