খোয়াই জেলায় বন্য হাতির আক্রমণে তছনছ বাড়ি-ফসল। সামান্য আহত ৯৫ বছরের একজন।

খোয়াই জেলায় বন্য হাতির আক্রমণে তছনছ বাড়ি-ফসল। সামান্য আহত ৯৫ বছরের একজন।

তেলিয়ামুড়ার কৃষ্ণপুরে বন্য হাতি বাড়িঘর, ক্যাবলের যন্ত্রপাতি এবং ফসল, রাবার বাগান নষ্ট করেছে। শনিবারে রাতে এই অবস্থা হয়েছে।

তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরার খোয়াই জেলায়।

মধ্য কৃষ্ণপুরের পূর্ব পাড়ায় হাতি কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে, অন্তত সাত পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। মানুষ চাইছেন, এলাকায় হাতি-তাড়ানো ক্যাম্প বাসানোর জন্য। কুনকি হাতি দিয়ে বন্যদের সরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন। তাদের কথায়,  সেরকম একবার বছর বিশেক আগে করা হয়েছিল।

রাত আটটা নাগাদ হাতির পাল পূর্ব পাড়ায় আসে।

পঁচানব্বই বছরের গোবিন্দ সরকার অল্প আহত হয়েছেন।

ঘরে ছিলেন মা-মেয়ে,হাতি সেই ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। তারা পেছন দিকে বেরিয়ে বেঁচেছেন। এই ঘটনা বাবুল সরকারের বাড়িতে। তারই টিভি ক্যাবলের ব্যবসা, সেই যন্ত্রপাতি কিছু ভেঙেছে হাতি। তাদের ফসলের ক্ষেতেও হাতি হানা দিয়েছিল, বলছিলেন বাবুল।

হরিমোহন দাস, সবিতা সরকার এবং নারায়ণ দাসদের কারও থাকার ঘর, কারও রান্না ঘর ভেঙেছে হাতি।

কিঙ্কর দাসের ফসল নষ্ট হয়েছে, ঊষা রঞ্জন মল্লিক, সুজিত বিশ্বাস’র রাবার বাগানের ক্ষতি হয়েছে।

আঠারমুড়া পাহাড় থেকে হাতি আসে এই অঞ্চলে। প্রায় সারা বছরেই কখনও না কখনও কৃষ্ণপুর,  মহারানি, লক্ষীপুর, ঘিলাতলী, ইত্যাদি এলাকায় বন্য হাতির এসে পড়ে। ফসল তোলার সময়ে বেশি হয়।

বন দফতরের প্রতি মানুষের অভিযোগ এই যে যারা হাতি তাড়াতে আসেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত পটকা, ইত্যাদি থাকে না।চামপ্লাই এলাকায় কিছুদিন আগে একটি হাতি-তাড়ানো ক্যাম্প হয়েছে, তবে একটি ক্যাম্প বিস্তৃর্ন এই এলাকা সামলাতে পারে না বলে মানুষের মত।

অনেকদিন আগেই একটি অ্যালিফ্যান্ট-রিজার্ভ করার ঘোষণা হলেও, এখনও তা হয়নি। অনেকের মতে সীমান্তে কাঁটাতার হওয়ায় হাতিদের বিচরণের জায়গাও কিছুটা ছোট হয়ে গেছে।

 

COMMENTS