কাঞ্চনপুরের দামছড়া থেকে অপহৃত হয়েছিলেন ছোট ব্যবসায়ী লিটন নাথ, নভেম্বরের শেষে।
খেদছড়া থানার রানীরপাড়ায় টিলার ঢালে মাটিচাপা দেয়া লিটনের দেহ উদ্ধার হয়েছে আজ। পোস্টমর্টেমের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-র সাফল্যের কথা গণ্ডাছড়া থেকে তিন অপহৃত ফিরে আসার পর জোর প্রচার হয়েছিল, তাদেরও আগের অপহৃত লিটন, এখন পচাগলা দেহ মাত্র।
দিন দুয়েক আগে টাকারজলা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের থেকে লিটন নাথ’র খবর পাওয়া গেছে।
২৭ নভেম্বর তাকে অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়, ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন, বারে বারে তাকে নিয়ে জায়গা বদল করা হয়েছে।
গণ্ডাছড়া থেকে সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর কাজে থাকা তিনজন অপহৃত হয়েছিলেন লিটন নাথ’র পর।
মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে খবর।
পুলিশ অবশ্য তা স্বীকার করেনি, তাদের দাবি ছিল, চাপে পড়ে তাদের ছাড়া হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভোমিক বলেছিলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’র বেশি করা হয়েছে তাদের ছাড়িয়ে আনতে।
লিটন নাথসহ চারজন অপহৃত হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রী এক জনসভায় বলেছিলেন, কারা অপহরণ করেছে,ইত্যাদি সব তার জানা আছে। মোদীজি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারলে, ত্রিপুরা সরকারও পারবে। তারপরেই অবশ্য বলেছিলেন, অপহরণকারীরা যেন ছেড়ে দেয় অপহৃতদের।
COMMENTS