ত্রিপুরাার নাবালিকা বিক্রি হয়ে গেছেন রাজস্থানে ! লিখেছে একটি জাতীয় ইংরাজি দৈনিক

ত্রিপুরাার নাবালিকা বিক্রি হয়ে গেছেন রাজস্থানে ! লিখেছে একটি জাতীয় ইংরাজি দৈনিক

ত্রিপুরার একটি নাবালিকা বিক্রি হয়ে গেছে রাজস্থানের ঝুনঝুনু এলাকায়। চৌদ্দ বছরের মেয়েটি এখন দুই মাসের গর্ভবতী । মেয়েটি ঊনকোটি জেলার। এই রকম একটি খবর ছেপেছে ভারতের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ইংরাজি দৈনিক দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া দু’দিন আগে।
অভিযুক্ত মেয়েটির পরিচয় গোপন করে তার বাড়িতে আটকে রেখেছিল। মেয়েটি তার ঠিক পরিচয় এবং বয়স বললেও কোনও এফআইআর হয়নি। রাজস্থান স্টেট কমিসন অব প্রোটেকসন অব চাইল্ড রাইটস নির্দেশ দিয়েছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে । জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট এবং পোকসো আইনে এক সপ্তাহের মধ্যে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থানের চাইল্ড রাইটস কমিসন।
পুলিশ এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। তারপর চাইল্ড রাইটস কমিসন’র শৈলেন্দ্র পান্ডিয়া ন্যাশনাল কমিসন অব চাইল্ড রাইটস কমিসন’র সাহায্য চান। ন্যাশনাল কমিসন জুনের ২ তারিখ ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার পুলিশকে চিঠি দেয়, মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত করতে। ঊনকোটি পুলিশ ৯ জুন জবাবে ন্যাশনাল কমিসনকে জানায় যে মেয়েটি ঠিক নাম-ঠিকানাই দিয়েছে। ঊনকোটি জেলার পুলিশ মেয়েটির পরিবারের সাথে দেখা করে, পরিবার থেকে জানানো হয় , মেয়েটি নিখোঁজ। সেই চিঠি দৈনিকটির কাছে আছে বলেও লিখেছেন তারা।
“ মেয়েটি জবানবন্দীতে জানিয়েছেন, রাজু নামের একজন তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। যে লোকটি তাকে বাড়িতে আটকে রেখেছিল, তিনি দাবি করেছেন , তাকে দেড় লাখ টাকায় তিনি কিনেছন, এবং তাকে বিয়ে করেছে্ন। আমি ১ জুন একটি মেয়ে বিক্রি হওয়ার কথা জানতে পারি। মেয়েটি এখন গর্ভবতী। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর । আমি জাতীয় কমিসনকে জানিয়েছি,” দৈনিকটি পান্ডিয়াকে উদ্ধৃত করে লিখেছে।
মেয়েটি অভিযুক্তের ২ মে বাড়ি থেকে পালিয়ে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।মান্ডায়া থানায় পরে ওই ব্যাক্তি অভিযোগ করেন যে তার স্ত্রী নিখোঁজ। মান্ডায়া থানার পুলিশ মেয়েটিকে পায় ৪ জুন। কিন্তু সেই ব্যাক্তির সাথে যেতে তিনি অস্বীকার করেন। তারপর ঝুনঝুনুর এসডিএম স্বধারা উইমেন হাউজে তাকে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। সেই হাউজের আধিকারিকদের মেয়েটি জানান যে তাকে পাচার করা হয়েছে। নিজের আসল নাম-ঠিকানাও বলেন। স্বধারার রিপোর্ট দেখে এসডিএম পুলিশকে নির্দেশ দেন বিষয়টি আবার তদন্ত করে দেখতে।
মেয়েটির জবানবন্দী পেয়ে পুলিশ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি’র কাছে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু কমিটি তার অভিযোগ রাখেনি। তার নাম, বয়স এবং পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। বয়স জানতে ডাক্তারি পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল কমিটিকে, কিন্তু যেহেতু মেয়েটি আড়াই মাসের গর্ভবতী , তাই সেই পরীক্ষা করা যায়নি, বলেছেন রাজস্থানের চাইল্ড প্রোটেকসন কমিসনের আধিকারিকরা।

( দ্য প্লুরাল কলাম এই খবর যাচাই করে দেখেনি। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরটি উদ্ধৃত করেছে মাত্র )

COMMENTS