উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি যেন রাজ্যের অন্যকোথাও ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য রাজ্য সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন।
তারা বলেছেন, সব দলের সভা ডেকে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে উদ্যোগ নিতে।
রিয়াং উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন নিয়ে যে বিরোধ হচ্ছে, তা একটা কার্যকর সমাধান সূত্র বের করতে।
“উদ্বাস্তু রিয়াং শরনার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে কাঞ্চনপুর মহকুমায় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্ভুত দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা পরিস্থিতিকে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। রাজ্য সরকার গৃহীত একগুঁয়ে, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপ পানিসাগরে পুলিশের গুলিতে ও সংঘর্ষে দুজনের প্রাণহাণি ঘটেছে ও অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমান রাজ্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শাসক দল বিজেপি -র বিভেদমূলক রাজনৈতিক সংকীর্ন স্বার্থ ও ষড়যন্ত্র এর পেছনে কাজ করছে। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল কাঞ্চনপুরের সীমানা ছাড়িয়ে এই উত্তেজনাকে অন্যান্য মহকুমায় ছড়িয়ে দিতে প্ররোচনা দিচ্ছে ও চেস্টা করছে । আমরা সিপিআই(এমএল) রাজ্য কমিটি এ প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ ও চিন্তা প্রকাশ করছি। দাবি করছি আর কাল বিলম্ব না করে সদর্থক আলোচনার মাধ্যমে কাঞ্চনপুর সমস্যার কার্যকরী সমাধান করতে হবে। রাজ্যে সব অংশের মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে হবে। পানিসাগরে জাতীয় সড়কে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে হতাহত করা এবং পরবর্তীতে উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে হতাহত হওয়ার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নামে ধামাচাপা দেওয়া চলবে না। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। নিহত পরিবারে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও একটি করে সরকারি চাকুরী দিতে হবে। আহতদের পরিবারে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ও সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কোনরকমের প্ররোচনা ও উস্কানিতে পা না দিয়ে রাজ্যের জাতি,উপজাতি ও সব অংশের মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান রাখছি,” বলেছে সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন।
COMMENTS