ত্রিপুরায় আশ্রমের আড়ালে নেশার ব্যবসা !

বাড়ির সামনে আশ্রম। আশ্রমে থাকতেন এক সাধু। নাম মরণ দাস। ত্রিপুরার বিশালগড়ের শিতলটিলায় রয়েছে মরণ সাধুর আশ্রম। আশ্রমের বাইরে এবং ভেতরে দেবদেবীর ছবি। এলাকার মানুষ ভিড় করতেন সেই আশ্রমে। কিন্তু আশ্রমের আড়ালেই চলত নেশা বানিজ্য।

ফেন্সিডিল, ইয়াবা টেবলেট, ব্রাউন সুগার, হেরোইন সব কিছুই মিলত মরণ সাধুর আশ্রমে। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল ব্যবসা। লাভও হচ্ছিল খারাপ না।

কিন্তু গত বছর ৩১ ডিসেম্বর রাতে হটাত বিশালগড় থানার পুলিস সেখানে হানা দেয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিশালগড় মহকুমার পুলিস আধিকারিক উত্তম বণিক। সাধুর ঠেকে হানা দিয়ে ছয় জনকে আটক করেছিল পুলিস। পুলিসের মতে তারা নেশা ব্যবসায় যুক্ত। উদ্ধার হয়েছিল কিছু নেশা দ্রব্য। এবং ভালো পরিমাণ টাকা। কিন্তু পালিয়ে গিয়েছিল আশ্রমের প্রধান মরণ সাধু। তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল।

বিশালগড়ের সরকারী আইনজীবী জ্যোতি প্রকাশ সাহা জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি বিশালগড় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে সাধুবাবা। প্রায় দুই মাস পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি সাধুর পক্ষের আইনজীবী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিনের আবেদন জানান। ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করে মরণ দাসকে ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠান।

জ্যোতি প্রকাশ  বলেছেন, সাধু তার বাড়ির সামনে ভগবানের ছবি লাগিয়ে রেখে পেছন দিয়ে এইসব অবৈধ নেশার কারবার চালিয়ে আসছে।

পুলিশ তদন্তের সার্থে সাধুকে জেলে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

 

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS