গাড়ির সিএনজি সিলিন্ডারের ভেতরে আনা হচ্ছিল ইয়াবা টেবলেট। একটা দুটি প্যাকেট না। পনেরটি প্যাকেটে দেড় হাজার ইয়াবা। দাম সাড়ে সাত কোটি টাকা। ধরা পড়েছে পুলিশ এবং বিএসএফের হাতে। ঘটনা রবিবার ত্রিপুরার বিশালগড়ে। একটি মারুতি ইকো গাড়িতে আনা হচ্ছিল এই ড্রাগস। আসাম থেকে। নেয়া হচ্ছিল সোনামুড়ায়। আগেই খবর পায় বিএসএফ। তারা পুলিশ নিয়ে বিশালগড়ে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নাকা বসায়। সকাল থেকেই। দুপুরে গাড়ি চেকিংএ ধরা পড়ে ঐ গাড়ি। চালক জাহিদ হোসেন গ্রেপ্তার হয়। তার বাড়ি সোনামুড়ার ভবানীপুরে। বিএসএফ জানিয়েছে খবর।
বিএসএফের দাবি শনিবার রাত থেকে শুরু করে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন চালিয়ে সাত কোটি ছিয়াত্তর লাখ টাকার নেশা সামগ্রী আটক করেছে তারা। তারমধ্য শানিবার রাতে দু’জনকে ধর। আলম মিয়া এবং ঝুটন ভৌমিক। তারা ধরা পড়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলার রাঘনা সীমান্ত থেকে। দুজনের বাড়ি সোনামুড়াতে। তারা বিএসএফের পোশাকে ছিল। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নকল পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়। একটি সবুজ রঙের জিপ্সি গাড়ি নিয়ে সীমান্তে ঘুরছিল তারা। বিএসএফের সন্দেহ হওয়ায় তাদের থামিয়ে পরিচয় জানতে চায়। তখন আসল ঘটনা সামনে আসে। জিপ্সি থেকে পাওয়া যায় ৯২ কেজি গাঁজা। কফ সিরাপও মেলে। প্রায় দশ লাখ টাকার বেআইনি জিনিস আটক করে বিএসএফ। দু’জনকে তুলে দেয় কদমতলা থানার হাত।
শানিবার রাতেই ত্রিপুরার বক্সনগর সীমান্তে দুই হাজার ইয়াবা টেবলেট ধরে বিএসএফ। একজন মোটর বাইকে করে সীমান্ত সড়ক ধরে যাচ্ছিল। টহলদার জওয়ানরা তাকে থামতে বলতেই সে বাইক ছেড়ে পালায়। বাইকে পাওয়া যায় দুটি প্যাকেট। তাতে ছিল দুই হাজার ইয়াবা টেবলেট। দাম প্রায় দশ লাখ টাকা।
শনিবার রবিবার জুড়ে বিএসএফ যেমন অভিযানে সাফল্য পেয়েছে তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। শুক্রবার রাতে কমলনগরে হানা দিয়েছিল বিএসএফের একটি বিশাল দল। কমলনগর ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার মধ্যে পড়ে। সীমান্ত এলাকা। সেখানে আমিন মিয়ার বাড়িতে গাঁজা খুঁজতে ঢোকে তারা। বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ গাঁজা খোঁজার নাম করে বাড়ির লোকজনদের পেটায়। সে বাড়িতে ভাড়া থেক্তেন নির্মাণ শ্রমিকরা। ঐ শ্রমিকরাও আক্রান্ত হন। ঘরদুয়ার ভাঙচুর করে জওয়ানরা। ঘরে ঢুকে মাটি খুঁড়ে গাঁজার খোঁজ করে। তাদের হাতে এগারজন আক্রান্ত হন অভিযোগ। আক্রান্ত হন মহিলারাও। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। সোনামুড়ার যাত্রাপুর থানায় বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বাড়ির মানুষ।
এত করেও গাঁজার খোঁজ পায় নি আমিন মিয়ার বাড়িতে বিএসএফ।
বছর দুয়েক আগে আমিন মিয়ার কাকার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৩৪০০ কেজি গাঁজা। ৭৪ টি জলের ড্রামে ভরে সে গাঁজা মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ত্রিপুরাতে এখন পর্যন্ত সেটাই সবচেয়ে বড় গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা। আমিন মিয়ার কাকার বাড়ি তার বাড়ির পাশেই।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS