ত্রিপুরায় ১০৩২৩ নামে পরিচিত শিক্ষকদের একটি সংগঠন দু’দিনের গণধর্নায় বসেছে আগরতলায়।
শিক্ষকরা নিজেদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য রাত জেগেছেন রাস্তায়। আদালতের রায়ে তাদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। নিয়মিত সরকারি কর্মচারী থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেই মেয়াদও ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাবার কথা। এখন পর্যন্ত তারা জানেন না তাদের কী হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষকের চাকরি আর থাকছে না,‘বিকল্প ব্যবস্থা কিছু একটা হবেই’ । তবে সেটা কী, এখনও সরকার ঘোষণা দেয়নি।
শিক্ষকরা , শিক্ষকই থাকতে চান। হয়ত উপযুক্ত বিকল্পেও আপত্তি নেই, তাই ’১২ হাজার’ পদের কথাও তাদের গলায়।
বিজেপি-আইপিএফটি জোট ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার আগে শিক্ষা দফতরে ১২ হাজার অশিক্ষক পদের ইন্টারভিউ হয়েছিল, তখন এই শিক্ষকরাও তা দিয়েছিলেন। সেইসব পদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা পড়েছিল নিয়োগে। বছর খানেক পর আদালত সেসব নিষেধ তুলে নেয়, অবমাননার অভিযোগ টেঁকেনি। এই ফাঁকে ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে রাজ্যে। এখন জোট সরকার বলেছে, সেই ১২ হাজার পদ স্বাভাবিক নিয়মেই লোপ হয়ে গেছে।
ধর্নার দ্বিতীয় দিন,ভোরে রাস্তায় থাকা শিক্ষকরা বলেছেন, নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, এখন সরকার তা পালন করুক। তারা সেই দাবি নিয়ে বসেছেন। তারা মনে করেন,সরকার সেটি করবেন। ধর্নার জায়গায় বিজেপি’র নির্বাচনী ‘ ভিসন ডকুমেন্ট’-র একটি অংশ বড় করে টাঙানো।
মুখে সেটি বললেও , আস্থা টলে গেছে, তাই গণধর্ণা। এই অংশটি নেতা বিমল সাহা একদিন তা ক্যামেরার সামনে বলেছেনও।
কোনও রাজনৈতিক দল, কোনও মানবাধিকার সংগঠন, কর্মচারী সংগঠন এখন পর্যন্ত পাশে দাঁড়ায়নি। তারা আজও চালিয়ে যাবেন ধর্না। তাদের বিশ্বাস সরকারের প্রতিনিধি আসবেন সমাধান নিয়ে।
১০৩২৩ শিক্ষকদের আরেকটি অংশ ধর্নায় বসবেন আগামীকাল, আগরতলায়।
COMMENTS