রাজস্থান থেকে বাড়িতে ফিরেছেন তিনজন, মা এবং তার দুই ছেলে-মেয়ে। আগরতলার ইন্দ্রনগরে। ফিরেছেন সরকারি নিয়ম মেনেই। টেস্টে নেগেটিভও। থাকতে হবে হোম কোয়ারান্টিনে।
এলাকার মানুষ খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তারা অনুমতি ছাড়া, সরকারি নির্দেশ ছাড়া লুকিয়ে এসেছেন। তাদের বাড়ির নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই, এমনও অভিযোগ।
বাড়ি কার, ছোট ভাইয়ের , না তাদের , এই নিয়েও এলাকার মানুষের কৌতুহল। ক্লাবের সম্পাদককে জানিয়ে আসা হয়নি, যারা এসেছেন, তারা এলাকা না ছাড়লে রাস্তায় বসে পড়ার হুমকি।
যারা এসেছেন, তারা বলেছেন, বাড়ি তাদেরই।
তারা ধলেশ্বরে কোথায় থাকতেন, সেখানেই যেন তারা চলে যান, দাবি ছিল। ভাড়াটিয়াকে চাপ দেয়া যাবে না সরকারি নির্দেশ, এমন কথা শোনা গেছে, এই কথা তাদের জানা , তবে তারা যে সরকারি ব্যবস্থা মেনেই এসেছেন বাড়িতে সেটা তাদের জানা নেই !
সচেতনতার কথার নামে ‘যান হে তো জাহান হে’ জাতীয় ফিল্মি কথা, সরকারকে দোষারোপ, ইত্যাদি নানা কিছু। আসেন পুলিশ, সদর মহকুমা শাসক , এবং এলাকার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। রাস্তা অবরোধ, ইত্যাদি কিছুই হয়নি অবশ্য। অবস্থা সামলে যায়।
মহকুমা শাসক এবং বিধায়ক দু’জনেই বলেছেন ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সমস্যা মিটেছে। বিধায়ক বলেছেন, পাড়ার ছেলেরাই তাদের বাজার-হাট করে দেবে।
COMMENTS