বিধায়ক-চেয়ারম্যান ব্যাঙ্ককে বলেছেন তার অনুমতি ছাড়া ঋণ না দিতে

বিধায়ক-চেয়ারম্যান ব্যাঙ্ককে বলেছেন তার অনুমতি ছাড়া ঋণ না দিতে

ব্লক এডভাইসরি কমিটি’র চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়া কাউকে যেন স্বাবলম্বন প্রকল্প  ও   প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনেরেসন প্রোগ্রাম( পিএমইজিপি)  অনুযায়ী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেয়া না হয়। তিনটি ব্যাঙ্কের তিন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে বলেছেন কিল্লার ব্লক এডভাইসরি কমিটি’র চেয়ারম্যান নিজেই। তিনি বিজপি বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া।

কিল্লা, ত্রিপুরার গোমতী জেলার একটি জায়গা।

বিধায়ক চিঠি দিয়েছেন, কিল্লায় থাকা  ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলমেন্ট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া শাখাগুলিকে।

৭ ফেব্রুয়ারির এই চিঠি বিধায়কের লেটার হেড দেয়া প্যাডে, রমাপদ জমাতিয়া লিখেছেন, যদি এমন করা হয় ( চেয়ারম্যানের আগাম অনুমতি ছাড়া ঋণ দেয়া হয়), তবে বিষয়টি গুরুতর বিবেচনায় দেখা হবে, এবং উপযুক্ত উপরওয়ালাকে জানানো হবে।

“If it is done without any approval, matter will be  viewed seriously and to be noticed Higher Authority as deem fit”

ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গেছে, বিএসি চেয়ারম্যানের ব্যাঙ্ককে এমন চিঠি দেয়ার বিষয় নজির বিহীন। তাছাড়া , বিএসি ঋণ দেয়ার জন্য কাউকে সুপারিশও করতে পারে না। জেলা শিল্প কেন্দ্র উপযুক্ত প্রার্থীর নাম  বলতে পারে, মানে কোনও প্রার্থী উপযুক্ত কিনা, সেটা বলতে পারে। তবে জেলা শিল্প কেন্দ্র থেকে বলা সব প্রার্থীই যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিশ্চতই  পেয়ে যাবেন, তা নয়। ব্যাঙ্ক যদি খতিয়ে দেখে মনে করে , ঋণ দেয়া যেতে পারে, তবেই ঋণ দেয়া হয়।

প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের।   সরকারি ওয়েবসাইটে ( https://www.kviconline.gov.in/pmegp/pmegpweb/docs/pdf/PMEGPscheme.pdf  ) পিএমইহিপি গাইডলাইন দেয়া আছে। সেখানে লেখা আছে,

“The Scheme will be implemented by Khadi and Village Industries Commission (KVIC), a statutory organization under the administrative control of the Ministry of MSME as the single nodal agency at the National level. At the State level, the Scheme will be implemented through State KVIC Directorates, State Khadi and Village Industries Boards (KVIBs) and District Industries Centres (DICs) and banks.”

কোথাও খুঁজে ব্লক এডভাইসরি কমিটি’র চেয়ারম্যানকে এই গাইডলাইনে পাওয়া গেল না।

এক ব্যাঙ্ক কর্তা, নাম না জানানোর শর্তে বলেছেন, নানাভাবেই চাপ আসে। এভাবে চিঠি লেখা ব্যাঙ্কের নিজস্ব কাজে হাত ঢোকানোর সামিল। এরকম চাপ আসেই, তবে “এরকম চিঠি লিখে  নির্দেশ জারি করা, আগে শুনিনি।”

এই ব্যাঙ্ক কর্মচারী প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চাকরি করছেন।

COMMENTS