২০০-এর বেশি ককবরক বই প্রকাশ

বর্তমান বামফ্রন্ট পরিচালিত এডিসি প্রশাসন দুশোটির বেশি ককবরক বই প্রকাশ করেছে। জানিয়েছেন এডিসির মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধা চরণ দেববর্মা। রবিবার তিনি খুমুলুঙে নোয়াই অডিটোরিয়ামে ককবরক ভাষার উন্নয়নের উপর আয়োজিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, এর আগে আর এত বেশি পরিমাণে ককবরক বই প্রকাশ করে নি এডিসি। এদিনও এডিসি প্রশাসনের উদ্যোগে সাতটি ককবরক বই প্রকাশিত হয়।

১৯ জানুয়ারি ৪২ তম ককবরক দিবস পালিত হয়েছে খুমুলুঙেও। সকালে হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে এডিসি এলাকার বিভিন্ন স্কুলের বাচ্চারা অংশ নেয়। দিবসটিকে পলানের অঙ্গ হিসাবে সেমিনার, বই প্রকাশ সংবর্ধনা প্রভৃতি কর্মসূচীরও উদ্যোগ নিয়েছিল এডিসি প্রশাসন।

 

 

রাধাচরণ দেববর্মা জানিয়েছেন, দীর্ঘ গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামের ফসল ককবরক ভাষার স্বীকৃতি। ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ ককবরক ভাষার স্বীকৃতির দাবিসহ চারটি দাবিতে হচ্ছিল আন্দোলন। দক্ষিণ ত্রিপুরার জোলাইবাড়িতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায় পুলিস। মারা যান ধনঞ্জয় ত্রিপুরা। ককবরক ভাষার দাবিতে শহীদ হন তিনি। পরে ১৯৭৯ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার এসে ককবরক’কে রাজ্য ভাষার স্বীকৃতি দেয়। ১৯ জানুয়ারি আসে সেই ঘোষণা। সেই থেকে ১৯ জানুয়ারি ককবরক ভাষা দিবস।

প্রতি বছর ককবরক দিবস উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা দেয় এডিসি প্রশাসন। এবারও দেয়া হল। এবার দশরথ দেব স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন রুহি দেববর্মা, রাধামোহন ঠাকুর পুরস্কার পেয়েছেন লক্ষ্মীধন মুড়াসিং, দৌলত আহমেদ পুরস্কার পেয়েছেন জিতেন নোয়াতিয়া।

দৌলত আহমেদ ককবরক ভাষাকে প্রথম লিখিত রূপ দেন। রাধামোহন ঠাকুর ককবরক ভাষার ব্যাকরণ প্রনেতা। আর দশরথ দেব ত্রিপুরার ইতিহাসে এক কিংবদন্তী। তাদের নামেই পুরস্কার দিচ্ছে এডিসি।

 

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS