আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বর ২০২১-এ। দাবি করেছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক সন্দীপ মাহাত্মে।
অবশ্য আগে এই প্রজেক্ট শেষ হবার কথা ছিল মার্চ ২০২১ সালে। এর আগে টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বর ২০২০। দুবার ডেটলাইন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এই প্রজেক্টের। এবার পেছানো হল আরও ছয় মাস।
সন্দীপ মাহাত্মে জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। এই কাজটি করেছে জেলা প্রশাসন। এখন নির্মাণকারী সংস্থার কাজ বাকি।
গতকাল আগরতলার ষ্টেট গেস্ট হাউসে আয়োজিত হয়েছিল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের জেলাশাসক পর্যায়ের বৈঠক। সেখানেই আলোচনা হয় আগরতলা আখাউড়া রেল সংযোগ নিয়ে।
আগরতলা আখাউড়া রেল লাইনের দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের নিশ্চিন্তিপুরের দূরত্ব ১০.৬ কিলোমিটার। নিশিন্তিপুর থেকে আগরতলা রেলস্টেশন ৫.৪৬ কিলোমিটার। রেলওয়ের নির্মাণসংস্থা ইরকন ইন্টারনেশন্যাল এই রেলরুট তৈরি করছে। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮তে এই প্রকল্প উদ্বোধন হয়। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৬৮ কোটি টাকা।
গতকালের দুদেশের জেলা শাসক পর্যায়ের বৈঠকে ঠিক হয়েছেন ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে করা হবে আরও ৩টি বর্ডার হাট। এগুলি হবে খোয়াইয়ের পহড়মুড়া, পশ্চিম ত্রিপুরার বামুটিয়া এবং সিপাহীজলা জেলার জগতরামপুরে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদেশের প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখবেন এই তিনটি এলাকা। তারপর তারা রিপোর্ট দেবেন ভারত সরকারের কাছে। এছাড়া বৈঠকে, সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, মাদক চোরাচালান, মানব পাচার এসব নিয়েও আলোচনা হয়। ত্রিপুরার তিনজেলা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা, খোয়াই এবং সিপাহীজলার জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বাংলাদেশ থেকে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের ডেপুটি কালেক্টরা এসেছিলেন। তাছাড়া পুলিস এবং বিএসএফ বিজেবি’র আধিকারিকরাও ছিলেন।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS