অগ্নিগর্ভ দিল্লী। দেশের রাজধানীতে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও। সিএএ বিরোধীদের সাথে সিএএ সমর্থকদের সংঘর্ষ তিনদিনে পা রাখলো।
গতকাল সারাদিন জুড়েই দিল্লীর বিভিন্ন এলাকায় হিংসা মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছায়। এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সাত জন। এদের মধ্যে আছেন একজন হেড কনস্টেবলও।
গতকাল রাতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তখন রাত এগারটা। বৈঠক চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অবগত হন । নির্দেশ দেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের। সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসা ছড়াতে থাকে ।
I
দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি তো আছেই । সাথে চলছে দোকান লুটপাট , গাড়িতে আগুন । ব্রহ্মপুরিতে আজ সকাল থেকেই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । নিরাপত্তা বাহিনী ফ্ল্যাগ মার্চ করে।
পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দুপুর বার’টা থেকে আবার বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল , লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ।
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী দেশের রাজধানীতে শান্তি ফেরানোর আহবান রেখেছেন।
শাহীনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলন কারীরা এই হিংসা ছড়ানোর পেছনে কেন্দ্রের শাসক দলের মদত আছে বলে অভিযোগ করেছে।
শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেবার জন্য দক্ষিণপন্থী শক্তি পুলিশী সহায়তায় হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে শাহীনবাগের আন্দোলকনকারীরা। তাদের অফিসিয়্যাল টুইটার হ্যান্ডেলে এই অভিযোগ উঠে এসেছে । সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘রাইট উইং হুলিগানরা’ আক্রমণ করছে বলে টুইটারে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
COMMENTS