উত্তরপূর্ব ভারতে এই প্রথম, হচ্ছে ত্রিপুরায় !

উত্তরপূর্ব ভারতে এই প্রথম,  হচ্ছে ত্রিপুরায় !

বাচ্চারা কি ভালোবাসে? চকোলেট, ফুল, কেক না খেলা। সেটা বুঝেই স্যার মেডামরা তার সঙ্গে ব্যবহার করবেন। তার মনঃসংযোগ বাড়াতে কাজ করবেন। নাম হ্যাপিনেস ক্লাস। স্কুলের শুরুতেই প্রথম ঘণ্টায় হবে এ ধরনের ক্লাস। শিশু যাতে আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখতে পারে, বুঝতে পারে। শিক্ষাটা চাপিয়ে দেয়া না তার উপর। বলছিলেন ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্জনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা।
প্লুরাল কলামের সঙ্গে কথা বলার সময় পাহড়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বর্তমান এডিসি কি ভাবছে তাই জানিয়েছেন সিইএম।
ত্রিপুরার কুড়িটি স্কুলে শুরু হবে স্মার্ট ক্লাস। সবগুলি স্কুলই ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায়। এ মাসেই শুরু হবে স্মার্ট ক্লাস। সেই সঙ্গে হবে হ্যাপিনেস ক্লাসও। কোন কোন স্কুলে হবে স্মার্টক্লাস এবং হ্যাপিনেস ক্লাস তার চিহ্নিতকরণ হয়েগেছে। বেশিরভাগই এডিসি এলাকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। কিছু বাংলা মাধ্যম স্কুলও রয়েছে।
২০২০-২১ সালের এডিসির বাজেটেই প্রস্তাব ছিল স্মার্টক্লাস শুরু করার ব্যপারে। বাজেট পেশ করার দুমাসের মধ্যে তার বাস্তবায়নে হাত দিয়েছে প্রশাসন।
গোটা বিষয়টি তিনটি ভাগে ভাগ করা আছে। স্মার্ট ক্লাস। ডিজিট্যাল ক্লাস এবং হ্যাপিনেস ক্লাস। স্মার্ট ক্লাস হবে পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুদের শেখাবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যে কুড়িটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস হবে সেখানে ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটি দেয়া হচ্ছে। ব্লাকবোর্ডের পরিবর্তে স্ক্রিনেই হবে বাচ্চাদের শেখানো পড়ানোর বিষয়। প্রতিটি শ্রেনীতে সপ্তাহে তিনদিন যাতে স্মার্ট ক্লাস করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিজিট্যাল ক্লাশের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়াদের দেয়া হবে এন্ড্র্যেড ট্যাবলেট। তার মধ্য দিয়েই তারা পড়তে শিখতে পারবে। আপাতত ৩৩০টি ট্যাবলেট কিনছে জেলা পরিষদ। স্কুলপড়ুয়াদের দেয়া হবে তা। প্রতি পাঁচজনের জন্য একটি ট্যাবলেট। এই হিসেবেই চলছে এডিসি। সঙ্গে হ্যাপিনেস ক্লাস। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ করবে এডিসি। বলেছেন রাধাচরণ দেববর্মা।
বিদেশে অনেক আগেই শিশুদের বিকাশে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরাতেই প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এডিসি। দাবি রাধাচরন দেববর্মার।

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS