ত্রিপুরায় প্রতিদিন বাড়ছে কোয়ারাইন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা

ত্রিপুরায় আজ কোয়ারান্টাইনে আছেন ৫৩১৬ জন। গতকাল সংখ্যাটি ছিল ৩৯৫৪ জন। একদিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষ বেড়েছেন প্রায় তেরশ জন। আজ যারা কোয়ারান্টাইনেআছেন তাদের মধ্যে ৪৯ জন ইনিস্টিটিউশন্যাল কোয়ারেন্টাইনে। এবং ৫২১৬ জন আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এখন পর্যন্ত ৮৮ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। সবই নেগেটিভ। গতকাল মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ওষুধ আনা হয়েছিল কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে। এখন মজুত রয়েছে ৭৪৩১টি এন-৯৫ মাস্ক, ৩৩০৫৬টি ট্রিপল লেয়ার মাস্ক এবং ৫৩৪টি কিট। রাজ্যের চাহিদার ২০ শতাংশ মাস্ক এবং কিট মজুত রয়েছে।২০টি ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। চাল এবং গম দুমাসের মজুত রয়েছে। খাদ্যের কোন সংকট হবে না। ত্রিপুরার স্বাস্থ্যসচিব ডঃ দেবাশিস বসু বলেছেন।
তিনি বলেছেন, সব নগর এবং পুর এলাকায় গরীব মানুষকে আজও খাবার দেয়া হয়েছে দু’বেলা।
ত্রিপুরার অনেক মানুষ অন্য রাজ্যে আটকা পড়েছেন, এনিয়ে আগামীকাল সেসব রাজ্যের সরকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন।
রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে ত্রিপুরার সাত মন্ত্রী এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে আট জেলার ইনচার্জ করা হয়েছে। তারা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং খাদ্যের যোগানের বিষয়টিতে নজর রাখবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মাকে করা হয়েছে গোমতী জেলার ইনচার্জ, এনসি দেববর্মাকে করা হয়েছে সিপাহীজলা জেলার ইনচার্জ, প্রণজিত সিংরায়কে করা হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরার ইনচার্জ, রতনলাল নাথকে করা হয়েছে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ইনচার্জ। খাদ্যমন্ত্রী মনোজ দেবকে দেয়া হয়েছে ধলাই জেলার দায়িত্ব, সান্ত্বনা চাকমাকে দেয়া হয়েছে উনকোটির দায়িত্ব, মেবার জমাতিয়াকে দেয়া হয়েছে খোয়াই জেলার দায়িত্ব, এবং বিধানসভার উপাধক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনকে দেয়া হয়েছে উত্তরজেলার দায়িত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী আজ রাজভবনে রাজ্যপাল এবং সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন।

COMMENTS