১০৩২৩ শিক্ষকের নিয়োগ কী করে হয়েছিল, তদন্ত কমিশন হচ্ছে

১০৩২৩ শিক্ষকের নিয়োগ কী করে হয়েছিল, তদন্ত কমিশন হচ্ছেFeatured Video Play Icon

১০৩২৩ শিক্ষকদের নিয়োগ কীভাবে হয়েছিল, সেটি তদন্ত করা হবে,কমিশন গড়বে ত্রিপুরা সরকার। আজ বিধানসভাতে কমিশনের বিষয়টি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অবসরপ্রাপ্ত কোন বিচারপতি এই কমিশনের মাথাতে থাকবেন।

কমিশন গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবে। যারাই দোষী প্রমানিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার, বলেছেন বিপ্লব দেব।
ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার ২০১০-২০১৪ সালের মধ্যে ১০৩২৩ শিক্ষক নিয়োগ করে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। এইসব চাকরি নিয়ে মামলা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বজায় রেখে চাকরিগুলি বাতিল ঘোষণা করে।

শিক্ষকরা এখন কোর্টের অনুমতিতেই চুক্তিবদ্ধ আছেন, সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ।
শিক্ষকরা এখন ত্রিপুরাতে আন্দোলন করছেন তাদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য। সরকার বলেছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চেয়ে পাওয়া গেলে তাদের অন্য দফতরে নিয়োগ করা হবে।

বামফ্রন্ট সরকার কথা দিয়েছিল, “এই শিক্ষকদের ভেসে যেতে দেব না। তাদের পাশে থাকব।”
বামেরা ২০১৮ সালে ক্ষমতা হারিয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রতিশ্রুতি ছিল ১০৩২৩ শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান।

শুক্রবার ১০৩২৩ শিক্ষকদের বিষয় নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধী সিপিআই(এম)।
আজ আবার বিধানসভায় ১০৩২৩ শিক্ষকদের বিষয়টি আসে। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার এই শিক্ষকদের জন্য কী কী করেছেন সে বিষয়ে। দুবছর শিক্ষকতার চাকরির এক্সটেনশন আনা হয়েছে। টেট পরীক্ষার জন্য এককালীন ছাড় আনা হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এখন খালি পদে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি জানান, কমিশন গড়ার বিষয়টি।

হাইকোর্ট এই চাকরি নিয়ে মামলার রায়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে কোথাও বলেনি। বরঞ্চ নিয়োগে রাজনৈতিক, ইত্যাদি অভিযোগ কোর্ট ধরেইনি।
নিয়োগনীতির কারণে চাকরি বাতিল হয়। নীতিতে ‘নীড’ ( প্রয়োজন)-কে একটি কোটা হিসেবে নেয়া হয়েছিল। মেরিট, সিনিয়রিটি আর নীড, এই তিনের ছিল নিয়োগের নীতি। সেসব নীতি বাতিল করে দিয়েছিল আদালত।

আগরতলা, ত্রিপুরা

COMMENTS