লকডাউনে ঘরে বসে কাটাতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। যাদের দিন-আনি-দিন-খাই তাদের ভীষণ অসুবিধা। সুদে টাকা এনে, সংসার টেনে এখন যতদিন যাচ্ছে সুদের চিন্তা চেপে বসছে।
লকডাউনেই বাধ্য হয়ে অনেকে কাজের খোঁজে শহরের রস্তায়। আগরতলার বটতলা গোলচক্কর এলাকায় শ্রমিকরা কাজের খোঁজে দাঁড়ান। যার যেদিন যেমন কাজ জোটে, সেখানে যান। লকডাউনে সেই জায়গায় শ্রমিক দাঁড়াতে পারেন না, একমাসের বেশি হল। গত দু’দিন ধরে আবার এখানে আসছেন শ্রমিকরা। কাজের খোঁজে।
খুচরো রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন নেপাল দেবনাথ। এক মাস তিনি বাড়িতে বসে কাটিয়েছেন। এতে তার জমা টাকা প্রায় পুরোটাই শেষ । এখন কাজ না পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। নেপাল বলেছেন, সুদে ধার নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। পাঁচশ টাকা ধার নিলে একশ টাকা আগেই সুদ দিতে হচ্ছে। তার পাশে দাঁড়ানো আরেক শ্রমিক বললেন, সরকার চাল দিয়েছে। কিন্তু শুধু চাল দিয়ে তো সংসার চলে না। অন্য জিনিসও চাই।
বটতলায় কাজের খোঁজে আসা আরও শ্রমিকরা বলেছেন সুদে ধার নিয়েই টানতে হচ্ছে সংসার। এটা আরেক চিন্তা। কবে হাতে টাকা আসবে। কবে শোধ হবে সুদ, আসল! রাজনগরের সেলিম মিয়াঁর কাজ নেই অন্যদের মতই, ফলে টাকা নেই হাতে। স্বপন সরকার বলেছেন, কাজ নেই। টাকা নেই। তাই জোর করেই লকডাউনে বের হতে হচ্ছে তাদের কাজের খোঁজে।
তবে কাজ মিলছে না বিশেষ কিছুই।
COMMENTS