ওরাও বাড়ি ফিরে যেতে চেয়ে ছিলেন !

ও দিকটাই বাংলাদেশ । ত্রিপুরার তিনদিকেই তাই।

কোথাও নদী, কোথাও ছড়া সীমানার মত , কোথাও তাও নেই । জমি, এক দেশ থেকে আরেক দেশে, ভূগোলে সবই এক, খালি চোখেও, যতক্ষণ না  সীমান্ত পিলার চোখে পড়ছে কিংবা কাঁটাতার মনে করিয়ে দিচ্ছ্‌ একই রকম সব। কোথাও পাশের বাড়িটি বাংলাদেশ, কারও পুকুর পাড়ের একদিক বাংলাদেশ। হয়ত কৃষি মাঠের মাঝে কোথাও পিলার।

আর মাঝে মাঝে এগুলি ছাড়া টের পাওয়া যায়, পুলিশ গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশিকে, সামনে একটা সংখ্যা, খবর বের হলে।

তেমনি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় দশ জন বাংলাদেশী যুবক গ্রেফতার হয়েছেন,  নেয়া হয়েছে আদালতে।

দুই দেশের আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া আসা-যাওয়া  করা  যায় না,এই যুবকদের বিরুদ্ধে আপাতত অভিযোগ এটাই।

ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজও করা যায় না

মানুষ কাজের টানে, পেটের টানে  পরিযায়ী আদি-অনন্তকাল ধরেই।

ধরা পড়া যুবকদের বক্তব্য, তারা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। সাতমাস ধরেই আছেন আগরতলায়, রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।  এক লকডাউনে কাজ নেই, টাকায় টান পড়েছে। বাড়ি ফিরে যেতে চেয়ে ছিলেন।

বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা যেমন ঘরে ফিরতে চাইছেন, ফিরছেন, এখন এক সপ্তাহ ধরে ট্রেন চলছে, তার আগে পায়ে হেঁটে শয়ে শয়ে মাইল পাড়ি দিয়েছেন, মারা গেছেন, সিমেন্ট-কংক্রিট মেশানোর ড্রামের ভেতরে করে বাড়ি ফিরতে চেয়েছেন মরিয়া চেষ্টায়।

অভিযুক্তরা ছিলেন সাত মাস ধরে, তাদের বক্তব্য।

 

আদালত তাদের ২১ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগের হেফাজতে পাঠিয়েছে।

 

তারা বাংলাদেশের নিজেরাই বলেছেন ক্যামেরার সামনে। বলেছেন, রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, কার সাথে কাজ করেছেন, ইত্যাদি । তারা নিজেদের কলকাতার মানুষ বলে পরিচয় দিতেন।  তাদের বাড়ি রাজশাহীতে। দুই হাজার/পনেরশ টাকা  প্রতি জনে, বর্ডার পার হওয়া যায় !

এসিস্ট্যান্ট পাব্লিক প্রসিকিউটর বলেছেন, তাদের স্থানীয় মানুষ আটক করে পুলিশে খবর দিয়েছেন। পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে নিয়ে আসে। তারা কেন এখানে এসেছেন, তা এখনও বের হয়নি, তদন্তে বের হবে।

সীমান্ত কি  খোলাই থাকে ?

 

COMMENTS