কোভিড আক্রান্তের বিরুদ্ধে মামলা ত্রিপুরায়

কোভিড আক্রান্তের বিরুদ্ধে মামলা ত্রিপুরায়

ত্রিপুরার তিন কোভিড আক্রান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সোনামুড়ার মহকুমা শাসক। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানাতে হয়েছে মামলা দায়ের। মহকুমা শাসক সুব্রত মজুমদার জানিয়েছন, দুর্লভনারায়ন দ্বাদশ শ্রেনী স্কুলে রয়েছে একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার। সেখানকার তিন যুবক করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। কিন্তু তাদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে নেয়ার আগেই গতকাল তারা বাড়িতে চলে যান। পরে প্রশাসন এবং পুলিশের সহায়তায় গতকাল রাতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোভিড কেয়ার সেইন্টার।  এই তিনজন সম্পর্কে নলছড়ের বিডিও রিপোর্ট দেন মহকুমা শাসককে। তারপর রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহকুমা শাসক।

এদিকে মহকুমার ইন্দিরানগর মাদ্রাসাতে রয়েছে একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার। মেলাঘর পুর এলাকাতেই রয়েছে এই সেন্টারটি। সেখানে বেশ কয়েকজনকে পিজিটিভ পাওয়া যায় শনিবার। তাদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। বাধা আসছিল আত্মীয়দের তরফে বলে অভিযোগ।  শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেয়ার সেন্টারে গতকাল রাতে।

দক্ষিণ ত্রিপুরায় গত শুক্রবার রাতে কয়েকজন কোভিড পজিটিভ পাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়, তারপর শনিবার পুরো কেটে যায়, রবিবার সন্ধ্যায় তাদের  চিকিৎসার জন্য  আনতে যায় অ্যাম্বুলেন্স । বিরোধী দলের উপনেতা ও প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টরকেও ফোন করেছিলেন।

সিপাহীজলা জেলাতে নতুন কোভিড কেয়ার সেন্টার খোলা হয়েছে মেলাঘরের সাগর মহলে। সেখানে ষাটটি বেড রয়েছে। রাত থেকেই সেখানে রোগীদের ভর্তি করানো হচ্ছে।
সুব্রত মজুমদার বলেছেন, গতকাল রাতে আরও ১৪ জন নতুন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে মহকুমাতে। তাদের আজ দুপুরের মধ্যেই নিয়ে যাওয়া হবে সাগর মহলের কোভিড কেয়ার সেন্টারে।

সোনামুড়ার বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, কোয়ারান্টাইন সেন্টারে যারা আছেন,  তারা ১৪ দিন শেষ হবার পর অনেকেই নিজেদের মতো করে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।  কোয়ারান্টাইন সেন্টারে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে পজিটিভ।
পজিটিভদের  নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। একই কোয়ারান্টিন বাড়িতে তাদের সাথে যারা ছিলেন,  এখন ১৪ দিন পরে তারা যখন বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের পরীক্ষা হচ্ছে না অথবা  পরীক্ষা হলেও রিপোর্ট আসার আগেই তারা বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। অন্তত মহকুমার তিনটি জায়গাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

COMMENTS