কলকাতা থেকে ত্রিপুরার জন্য টিমটি বার, আসামের জন্য  ডাল নিয়ে ভাসল জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে, সেখান থেকে জিনিস আগরতলায় আসবে বাংলাদেশের ট্রাকে করে।

কলকাতা থেকে ত্রিপুরার জন্য টিমটি বার, আসামের জন্য  ডাল নিয়ে ভাসল জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে, সেখান থেকে জিনিস আগরতলায় আসবে বাংলাদেশের ট্রাকে করে।

কলকাতা থেকে আগরতলার জন্য টিমটি বার, আর করিমগঞ্জের জন্য ডাল নিয়ে  নিয়ে জাহাজ ভাসল। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র মন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয় দূরসংকেতে জাহাজটির যাত্রা শুরু করিয়েছেন।

কলকাতা থেকে জাহাজ আসবে  বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে , সেখান থেকে বাংলাদেশের ট্রাকেই  করে মালামাল আসবে আগরতলায়।

 

পরীক্ষামুলক ভাবে এই চালান আসছে।

 

মন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের জন্যই নতুন দরজা খুলে দেবে এই জলপথ।

 

বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতির জন্য দাবি ছিল ত্রিপুরার। ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশ। এই রাজ্যে প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুই ভারতের অন্য জায়গা থেকে আসে। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারের সুবিধা পেলে সেই দূরত্ব অনেকটাই কমে আসবে। ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব সামান্যই। সাব্রুমে কয়েকবছর আগেই দুই দেশের মধ্যে ব্রিজ তৈরির সিধান্ত পাকা হয়েছিল। এখন সেটি তৈরি হচ্ছে।

 

ত্রিপুরায় প্রথম বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশাল জেনারেটর এসেছিল। পাহাড়ি রাস্তা ধরে অন্যদিকে সেটি আনা প্রায় অসম্ভবই ছিল। তারপর থেকে আশুগঞ্জ নদী বন্দর হয়ে চাল, ইত্যাদি জিনিস আসছে ।

 

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার সুবিধায় লাভ দুই দেশেরই। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন দুই দিকের মানুষই।   বাংলাদেশের পরিবহন শিল্পও লাভবান হবে।

 

বাংলাদেশের মঙলা বন্দর ব্যবহার করার জন্যও চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকল চূড়ান্ত হয়েছে। সম্প্রতি,  পাঁচটি পোর্ট অব কল’র সাথে দুই দেশে আরও পাঁচটি করে যুক্ত হয়েছে ।

 

COMMENTS