বিহারের এবারের নির্বাচন একটা আন্দোলনের মত। মানুষের কাজের দাবি,নির্বাচনের দাবি হয়ে উঠেছে। আজকাল ‘ডবল ইঞ্জিন’ বলে একটা কথা হচ্ছে, মানে কেন্দ্রে-রাজ্যে একই সরকার। সেই সরকার তো অনেক জায়গাতেই আছে,ফল তো কিছু দেখা যাচ্ছে না,” বলেছেন সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন’র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
“গত লোকসভা নির্বাচনের আগে জোরদার কৃষক আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে তার প্রভাব পড়েনি। সেখানে পুলওমা, ইত্যাদি জায়গা নিয়েছে। এবার কাজের দাবি, প্রধান দাবি হয়ে উঠেছিল। লোকসভা নির্বাচনে বিহারে এনডিএ’র ফলের সাথে তুলনা করলে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভোট অনেক কমেছে। বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনে জেডি(ইউ) আর বিজেপি একসাথে ছিল না, তাই বিহারে সেসময় বিজেপি কত আসন পেয়েছিল, তার সাথে এবারের তুলনা করা যায় না,” বলেছেন ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, “পরিযায়ী শ্রমিক, গরিব মানুষ দারুণ সাড়া দিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া, বিভিন্ন প্রকল্পে থাকা কর্মীদের নেতৃত্ব দেয়া, এরকম অনেককে প্রার্থী করেছিল সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন, এবং তারা ভাল ফল করেছেন। অনেকেই জিতেছেন।
স্ট্রাইক-রেট বলে একটা কথা এবার শোনা যাচ্ছে। সেই কথা বললে, টেস্ট ম্যাচের হিসাবে ভাল স্ট্রাইক রেট। টি-টুয়েন্টি হিসাবে ভাল করলেও একেবারে গুটিয়ে আনা যায়নি।”
সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন’র ত্রিপুরার সম্পাদক পার্থ কর্মকার বলেছেন,”তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম বিহারে জাত-পাত নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়নি। সারা দেশে বেকারত্বের হার ২৩.৫ শতাংশ, বিহারে সেটা ৪৫ শতাংশ।
বিজেপি প্রথম দফার ভোটের পর, প্রচারে পুরোপুরিই ধর্মকে অস্ত্র করেছে। মহাজোটের ১০ লক্ষ চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতির পর ১৯ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয়েছে এনডিএ।
মাস দুই আগেও বিহারে এই অবস্থা ছিল না। বামশক্তিই কাজের দাবিকে মূল বিষয় করে তুলে এনেছে।
সারা দেশেই এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে।”
” বিজেপিই এখন গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু। তাকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
” পশ্চিমবঙ্গে ভোট আসছে। সেখানে ফ্যাসিবাদী শক্তি বিজেপিকে ঠেকাতেই লড়তে হবে। তৃণমূল প্রধান শত্রু নয়, যদিও তাদেরও স্বৈরাচারী চরিত্র আছে,” মনে করেন কর্মকার।
বিহার নির্বাচনে এবার মহাজোটের শরিক সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন,সিপিআই, সিপিআই(এম) ২৯ আসনে লড়ে ১৬ আসন পেয়েছে। সিপিআই(এম-এল) লিবারেসন একা পেয়েছে ১২ আসন। অন্য দুই বাম দল দুটি করে আসন পেয়েছে।
COMMENTS