জিবিপি হসপিটালে গণপিটুনিতে গুরুতর যুবক। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।

ত্রিপুরার প্রধান হাসপাতাল জিবিপি হসপিটাল-এ গণমারে আহত এক যুবক। হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী এবং অন্যান্যরা ছেলেটিকে মেরেছে বলে অভিযোগ।
ছেলেটি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ছেলেটিকে মারধর করার জন্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা এখনও নেয়নি।
বছর তিনেক আগে একদিনে ত্রিপুরার নানা জায়গায় গণপিটুনিতে কয়েকজন মারা গেছেন।কয়েকজন আহত হয়েছেন। দুই জন অন্য রাজ্যের ছোট কাপড় ব্যবসায়ী একটি টিএসআর ক্যাম্পে ঢুকেছিলেন প্রাণ বাঁচাতে, সেখানেও তাদের প্রাণ বাঁচেনি। একজন অস্থায়ী সরকারি কর্মচারী ঘোষণা দিতে বেরিয়ে মারা গেছেন, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে।তার পরিবার শাসক বিজেপি সমর্থক। এই একটি খুনের অভিযুক্ত ধরা পড়েছে, অন্য ক্ষেত্রে একজনও নয়।
মোহনপুর দিয়ে শুরু হয়েছিল।
ঠিক তার আগের দিন রাত্রে পারিবারিক ঝগড়ায় মারা যায় একটি বাচ্চা ছেলে। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সেই বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে দেন,বাচ্চাটির পেছন দিক কেটে কিডনি চুরি করে নিয়ে গেছে একটি চক্র। পরদিন কিডনি চক্রের গুজব ছড়িয়ে পরে। তখনকার বিজেপি’র ‘খ্যাতনামা’ ফেসবুকার ‘অনুপম’ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন, পাচার চক্র ঢুকেছে রাজ্যে। সেখানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার এবং কংগ্রেস নেতা বীরজিৎ সিংহকেও জড়িয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেছিল, তা নেয়নি। একটি বাদে গণপিটুনির খুনগুলিতে কাউকে ধরেনি। মোহনপুর দিয়ে তখন শুরু হয়েছিল, সেখানে কিছুই হয়নি।

COMMENTS