বাদল চৌধুরী হুট খোলা জিপে। সেখান থেকেই মাথা নামিয়ে দিয়েছেন। সেই নুয়ে পড়া মাথায় আশীর্বাদের হাত। যিনি আশীর্বাদ করছিলেন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছানো এক মা।
অজস্র ফোন- ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই মুহূর্ত। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অসংখ্য মানুষ। যুবদের সংখ্যা তাতে বেশি।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। সোমবার বাদল চৌধুরী গেলেন বিলোনিয়ায়। ১২২ দিন পর। ঘরের ছেলেকে ঘরে নিতে আজ রাস্তায় নামেন মানুষ।
প্রাক্তন মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে, বাম কর্মী-সমর্থকদের আন্তরিকতার কোনও অভাব ছিল না। ফুলেল সংবর্ধনা গোটা রাস্তাজুড়ে। গলার শিরা ফুলিয়ে স্লোগান।
আগরতলায় ক্ষুদিরাম বসু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে গতকাল শিক্ষক-অভিভাবক সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ‘এই ধরনের লোকেরা কী করে এতদিন নেতা ছিলেন! আমার অবাক লাগে ভাবতে! জেল থেকে ঘুরে এসেছেন। মনে হচ্ছে, তীর্থ করে এসেছেন। কিন্তু এখনো চার্জশিট জমা বাকি। আদালতে বিচার হবে। তারপর তীর্থযাত্রা শেষ হবে,’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করলেও, বাদল চৌধুরীকে নিয়ে বলা।
বাদল বিলোনিয়া সিপিআই(এম) অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন , বিলোনিয়া গোটা রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছে। মানুষ তাদের পতনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। মিছিল করতে দিচ্ছে না। মিছিলে গেলে মাথা ফাটাচ্ছে। মানুষ মিছিল বন্ধ থাকতে দেন নি। এখানেই মিছিল থেমে থাকবে না।
রাজ্যের সরকার ছাত্র-যুবকদের সঙ্গে প্রতারনা করছে। কাজের কোন কথা নেই। বেকরারা হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছেন। রাজ্য সরকারের হিম্মত থাকলে শ্বতপত্র প্রকাশ করে জানাক গত দুই বছরে ভিশন ডকুমেন্টের কতটা পূরণ করতে পেরেছে। কতজন বেকারকে কাজ দিতে পেরেছ।
১ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। ৮৭ দিন ছিলেন পুলিস ও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। তার বিরুদ্ধে গত অক্টোবরের ১৩ তারিখ মামলা দায়ের করেছিল ত্রিপুরার সরকার। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ। সে সময় ত্রিপুরার পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন বাদল চৌধুরী।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS