দিল্লী পুলিশ ব্যর্থ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে না । এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানো উচিত । এরকমই মনে করছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ।
দিল্লীতে সি এ এ বিরোধী এবং সমর্থকদের সংঘর্ষ চলছেই । চারদিন হয়ে গেলো। দিল্লী পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে না ।
গত চার দিনে একজন পুলিশ কর্মী সহ মারা গিয়েছেন আঠার জন । একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতের সংখ্যা পনের জনেরও বেশী। সরকারি হিসেব মতে আহত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় দুইশ। বেসরকারি মতে পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে।
অনেক দোকানপাট লুটপাট হয়েছে । আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মহল্লায় , বাড়িতে । গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়াও চলছে ।
সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
সি বি এস ই , হিংসা আক্রান্ত এলাকায় পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে। সরকারী – বেসরকারী স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। কারফিউ জারি হয়েছে কয়েকটি জায়গায় । ‘শ্যুট এট সাইট’ — দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৌজপুর, চাঁদবাগ , করওয়ালনগর , জাফরাবাদে ।
পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে কেউ যাতে বাড়ি ঘর থেকে বের না হন । ঘোষণা হচ্ছে উষ্কানীমূলক মন্তব্য , গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য ।
দিল্লীর পুলিশ প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে । রাজ্য সরকারের পুলিশের কাজ নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা নেই । ফলে দিল্লীর আইন শৃঙ্খলার এই অবনতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে না । এর পরেও সাধারণ প্রশাসনের মাধ্যমে যে এলাকা গুলোতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে আক্রান্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারতো দিল্লী রাজ্য সরকার । এখন পর্যন্ত সেরকম কোন কিছুই করে উঠতে পারে নি কেজরিওয়াল সরকার । এনিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন ।
গতকালই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেছিলেন দিল্লীতে সেনা নামানোর জন্য । আজ সুর মেলালেন কেজরিওয়ালও। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই দাবি জানালেন । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এই বিষয়ে তিনি চিঠিও লিখবেন ।
COMMENTS