জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সবাই ন্যূনতম একদিনের বেতন দিল্লি দাঙ্গায় আক্রান্তদের কল্যাণে দান করবেন ।
গত মাসের ২৯ তারিখ জামিয়া টিচার্স এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধিদল দিল্লির বিভিন্ন দাঙ্গা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।
সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী এক বছর কোন সদস্যই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবেন না , মিতব্যয়িতা অবলম্বন করে অর্থ সঞ্চয় করবেন। এভাবে যে অর্থ সঞ্চয় হবে দাঙ্গায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যানে ব্যয় করা হবে ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাঙ্গা-আক্রান্ত এলাকায় ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এর কাজ শুরু হয়েছে।
সংগঠনের সভায় একটি প্রতিবেদন পেশ হয় । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দিল্লির সাম্প্রতিক দাঙ্গায় সাধারণ মানুষ যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা যে অবস্থায় আছেন তা লিখে বর্ণনা করা অসম্ভব । দিল্লির পুরাতন মুজাফাবাদ এলাকায় এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সাহায্য পৌঁছায়নি । সভ্য সমাজে মানুষজন এভাবে বসবাস করতে পারেন না বা কোনও সভ্য সমাজে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে দাঙ্গা-আক্রান্তরা সম্পূর্ণভাবেই সরকার এবং প্রশাসনের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়েছেন।
সংগঠন মনে করে এই সময়ে সারাদেশের মানুষের এক হয়ে হিংসা যারা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধচারণ করা উচিত । ভারত যদি এইরকম একটি সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজেদের ঐক্য বজায় রাখতে না পারে তাহলে দেশের ধর্মীয় বিভিন্নতা , সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভীষণভাবে আক্রান্ত হবে।
সংগঠন এরকম সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে সামর্থ্য অনুযায়ী দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় দাঙ্গায় পুড়ে যাওয়া স্কুল সংস্কারে অর্থসাহায্য যেমন করা হবে তেমনি দাঙ্গা আক্রান্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনায় বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হবে ।
দিল্লি দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪৫ জন। সরকারি হিসাব মতে আহত ব্যক্তির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে
প্রচুর বাড়িঘর , সরকারি সম্পদ মূলত স্কুল, পাঠাগার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । সরকারিভাবে এখনও পুরো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা হয়নি ।
COMMENTS