‘ব্ল্যাটান্ট লাই! ব্ল্যাটান্ট লাই!’

পুরোপুরি মিথ্যে ! ‘ব্ল্যাটান্ট লাই! ব্ল্যাটান্ট লাই!’

আগরতলা পুর  নিগম’র কমিসনার তার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে পুলিশে জানানো নালিশ নিয়ে বলেছেন। দুই বিজেপি বিধায়ক ও কমিসনার একটি ডেপুটেসনের মাঝে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৪ মার্চ। মেয়র ঘটনাটি ‘অনভিপ্রেত’ বলেছেন।

বিজেপি বিধায়ক আশিস সাহা এবং রামপ্রসাদ পাল অন্যান্যদের নিয়ে আগরতলা পুর নিগমে ডেপুটেসন দিতে গিয়েছিলেন। তিনটি বিষয়ে আলোচনা। হাওড়া নদীর পাশের বস্তির মানুষদের কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, মহারাজগঞ্জ ( গোল) বাজারের ও একটি মার্কেটে প্লেসের ঘর দেয়া নিয়ে কথা। মহারাজগঞ্জ বাজারের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

মেয়র প্রফুল্লজিত সিনহা ছিলেন, পুর কমিসনার ডাঃ শৈলেশ যাদব ছিলেন ডেপুটেসন নিতে।

আলোচনার মাঝে কমিসনার ও দুই বিধায়ক কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিধায়ক আশিস সাহা বিষয়টি নিয়ে  বিধানসভায়  প্রভিলেজ মোসন আনবেন বলেছেন। ডেপুটেসন  দিতে আসা প্রতিনিধিদের একজন কমিসনারের নামে পুলিশে নালিশ করেছেন।

কমিসনার সেই নিয়ে তার বক্তব্য রেখেছেন গতকাল। তার বিরুদ্ধে পুলিশে জানানো অভিযোগ , মিথ্যে, একেবারেই মিথ্যে, তার দাবি।

উন্নয়নের কাজকে বন্ধ করে দিতেই এসবের একমাত্র  উদ্দেশ্য, অফিসারদের এভাবে মনোবল ভেঙে দিলে , অনেকেই কাজ করতে চাইবেন না, তার মনে হয়েছে। তিনি নিজেও সেদিন ‘ ডিমোরালাইসড’ বোধ করছেন।অনেক  সময়েই কাজ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন, কখনও পুলিশ যায়, কখনও না। রাজ্য সরকারের কাছ্র বারবার  চেয়েও তিনি নিরাপত্তা পাননি।

তার আগে কোনও পুর কমিসনার মহারাজগঞ্জ বাজার নিয়ে এতটা কাজ করেনি।আগরতলা শহরে যেখানে-সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা, বা বড় বড় দোকানের ফুটপাত দখল নিয়ে কড়া ব্যবস্থা দরকার বলে তিনি মনে করেন। ট্রাফিক পুলিশ’র প্রতি  প্রশ্ন রেখেছেন।

 

‘ আমার নামে আগেও এফআইআর হয়েছে……………………আমি ছেড়ে যাচ্ছি না’,  ডাঃ যাদব বলেছেন।

COMMENTS