আগরতলায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক তরুন আইনজীবীর।
বছর আঠাশের ভাস্কর দেবরায়কে ধলেশ্বরের রাস্তায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায় গত রাতে। ফায়ার সার্ভিস জিবিপি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল ভাস্করকে ।
সকালে তার মা জানতে পারেন,ছেলে মারা গেছে। তার অভিযোগ ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চিকিৎসা না পাওয়ার কথাও তুলেছেন তিনি।
জিবিপি হাসপাতাল ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল, এখানেই একটি মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি ভাস্কর। হাসপাতাল সুপার বলেছেন, রাতের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
ভাস্কর রাতে বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন । আর বাড়িতে ফেরেনি। সকালে তিনি খবর পান তার ভাইয়ের কাছে। ভাই তাকে জিবিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে শুনতে পান তার ছেলে মারা গেছে, বলেছেন ভাস্করের মা কঙ্কনা রানী দেব রায়।
ভাস্কর থাকতেন কলেজটিলায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা-সাতটায় ভাস্কর কোর্ট থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন একবার। নিমন্ত্রণ খেতে বেড়িয়ে যান পরে।
কঙ্কনা বলছেন, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কারণ দুর্ঘটনায় বাইকের কিছু ক্ষতি হত, বাইকের কিছু হয়নি। তার ছেলের দেহেও তেমন কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। আর হাসপাতালে নেয়ার পরেও কোনও চিকিৎসাই হয়নি। ফেলে রাখা হয়েছিল। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বাড়ির কাউকে জানানোও হয়নি
জিবিপি হাসপাতাল সুপার ডাঃ রঞ্জিত দাস , চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, রাতে যে ডাক্তার দায়িত্বে ছিলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি পরিবারের লোকজনের অভিযোগ শুনেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
ভাস্কর দেব রায় ২০১৫ সালে আইন ব্যবসায় আসেন।
সন্ধ্যার খবরঃ
আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে এফআইআর করতে চাইলেও, তাদের অভিযোগ পুলিশ নেয়নি। এমনকী, পুলিশের এক বড়কর্তার কাছেও গিয়েছিলেন। শেষে তারা আগরতলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি ১২ মার্চ আদালতে উঠবে। সংশ্লিষ্ট থানাকে নোটিশ করা হয়েছে, ত্রিপুরা বার এসোসিয়েসন’র সভাপতি মৃণাল কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন।
রাতের খবরঃ ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি তদন্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নোটিশ জারি করেছে।
COMMENTS