জামিন হল বাদল চৌধুরীর। ২২ জানুয়ারি পশ্চিম ত্রিপুরার বিশেষ আদালতের বিচারক সব্যসাচী দত্ত পুরকায়স্থ জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
২১ জানুয়ারি বিশেষ আদালতে ত্রিপুরার প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে বাদল চৌধুরীর আইনজীবী বলেছিলেন, ৭২ বছরের একজন বয়স্ক মানুষকে ৭৫ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। কোন ধরনের প্রমান ছাড়াই। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল এখনও ৯০ দিন হয় নি। তাই আরও কিছুদিন তাকে জেল হাজাতে রাখা যেতে পারে।
কি কারনে বাদল চৌধুরীর জামিনের আবেদন ২২ তারিখ নাকচ করা হয়েছে তা এখনও জানা যায় নি। কারন সন্ধ্যার পর সম্পূর্ণ রায়ের কপি মিলতে পারে। সেখানেই জানা যাবে কারন।
বাদল চৌধুরীর আইনজীবীদের মতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট এবং বিশেষ আদালাত মিলিয়ে ৬-৭ বার জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই তা নাকচ হয়েছে।
বাদল চৌধুরী এখন জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১৮ জানুয়ারি রাতে তিনি সেন্ট্রাল জেলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। ১৯ জানুয়ারি তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গত বছর ১৩ অক্টোবর পূর্ত দপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের প্রাক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিক এবং দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যশপাল সিং’এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার । সুনীল ভৌমিক গ্রেপ্তার হন এফআইআর দাখিল হওয়ার সাথে সাথেই। বাদল চৌধুরীকে দুই দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল পাশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিশেষ আদালত। পরে ১৬ অক্টোবর তার জামিন বাতিল হয়। ২১ অক্টোবর অসুস্থ বাদল চৌধুরী আগরতলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছিল বুড়ো আঙুলের টিপ সই নিয়ে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন চৌধুরী। ৩০ অক্টোবর পুলিস তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে আদালতে তোলার চেষ্টা করে। আগরতলা হাসপাতাল থেকে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে থানাতেই ফের অসুস্থ হয়ে যান বাদল। তাকে আর আদালতে তোলা যায়নি সেদিন। ভর্তি করানো হয় সরকারী জিবিপি হাসপাতালে। ৮ নভেম্বর শেষ পর্যন্ত আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সিপিআই (এম)-এর এই নেতাকে। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আটক আছেন তিনি।
আগরতলা, ত্রিপুরা
COMMENTS