ত্রিপুরায় চা বাগানের জমি , চা চাষ বাদ দিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায় না। এটাই ত্রিপুরা ভুমি রাজস্ব ও ভুমি সংস্কার আইনের নির্দেশিকা।
এই আইনের পরিবর্তন করবে ত্রিপুরা সরকার। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী রতনলাল নাথ।মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়ে গেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন চা বাগানে যত জমি আছে এর পুরোটাই চা চাষের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এতদিন এই অব্যবহৃত জমিতে চা বাগানের মালিকরা যদি চা বাদ দিয়ে অন্য কোনও চাষ করতেন তাহলে সেই জমি সরকার খাস জমিতে পরিবর্তন করে নিতেন। এই নিয়মের পরিবর্তন করতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
চা বাগানের মালিকরা সর্বোচ্চ ২০ একর জমিকে ‘অন্য’ কাজে ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। ভুমি সংস্কার আইনের সংশোধনী করে এই অনুমতি দেওয়া হবে। এর জন্য বিধানসভায় উত্থাপিত হবে বিল বা অর্ডিন্যান্স।
কী হবে এই জমিতে? অন্য কাজে ব্যবহারের অনুমতি পেলেও ওই জমিতে “টি ইকো ট্যুরিজম’ করতে হবে।
রাজ্যে পর্যটন শিল্পকে উৎসাহ দিতেই এই সংশোধনী আনা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রী দাবি করেন।
ইকো ট্যুরিজমের জন্য চা বাগানের মালিকরা কটেজ , হোটেল , গলফ কোর্স তৈরি করে রাজ্যে পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
এই নতুন ব্যবস্থায় অনুপ্রাণিত হয়ে চা বাগানের মালিকরা অর্থনৈতিক ভাবে আরও লাভের মুখ দেখবেন। এভাবে চা শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হবে। মন্ত্রীর দাবি এমনটাই।
একটি আদর্শ গলফ কোর্স করতে ৬০ থেকে ৭০ একর জমির প্রয়োজন। নতুন সংশোধনীতে সর্বোচ্চ ২০ একর জমি অন্য কাজে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
COMMENTS