ত্রিপুরা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাওয়া-আসা বন্ধ, বন্ধ অন্য রাজ্যে বাস যাওয়া-আসাও

করোনা আটকাতে ত্রিপুরা সরকার আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২২ থেকে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত ত্রিপুরার কোন বাস অন্য রাজ্যে যাবে না। অন্য রাজ্যের বাসও ঢুকবে না ত্রিপুরাতে।
আগরতলা, আগরতলার চন্দ্রপুর এবং ধর্মনগর এই তিনটি জায়গায় আইএসবিটি রয়েছে। এই তিনটি মোটরস্ট্যান্ড থেকেই আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা পরিচালিত হয়।
আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জনতা কার্ফ্যু সফল হওয়াতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিজের সামাজিক সাইটের মাধ্যমে এই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সেখানেই বিপ্লব দেব আগামীকাল ত্রিপুরায় গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য আহ্বান করেছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া আগামীকালও মানুষকে ঘর থেকে না বেরুতে বলেছেন তিনি
পরপর কয়েকটি পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় সবগুলিই করোনা নিয়ে।

একটিতে লিখেছেন, “এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে যাতে কেউ চিকিৎসার জন্য না আসে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করছি”।
আরেকটিতে লিখেছেন, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ আমি বর্ডার কারফিউ ঘোষণা করলাম। রাজ্যের প্রিয় জনগণের প্রতি আমার আবেদন যে, আজ থেকে আপনারা বিএসএফের সহযোগিতায় ভারত থেকে বাংলাদেশে কাউকে যেতে দেবেন না এবং বাংলাদেশ থেকেও ভারতে কাউকে আসতেও দেবেন না”।

গত কয়েকদিনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অনেক মানুষ, বিশেষত বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়া ভারতীয় ছাত্ররা আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে এসেছেন। উল্টো যেসব বাংলাদেশী ছেলেমেয়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলে পড়াশুনা করেন তারাও এই সীমান্ত দিয়েই ঘরে ফিরে গেছেন।
আখাউড়া চেকপস্ট আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
একমাত্র সরকারি আধিকারিক আর ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট যাদের আছে, তারা যাওয়া-আসা করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান ঠিক রাখতে মাল নিয়ে আসা গাড়ি আসবে। চেকপোস্টটি বন্ধ করে দিতে প্রায় ১২৩ বছরের পুরানো আইন, ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিসেস অ্যাক্ট কাজে লাগানো হয়ছে। ২০০৫ সালের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টও।
ত্রিপুরায় সব ট্যুরিস্ট স্পট ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে

COMMENTS