লকডাউনের প্রায় দুই সপ্তাহ, সামাজিক দূরত্ব প্রশ্ন চিহ্নে আটকে অনেক ক্ষেত্রেই

 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। শুধু ভারতেই নয় , পৃথিবীর নানা দেশেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নেই, নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই ফার্স্ট লাইন অব প্রটেকসন।

দেশের প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। ত্রিপুরায় লকডাউন দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হবার আগেই শুরু হয়েছে, এমনকী এই রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে সামনে রেখে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল লকডাউন শুরু হবার প্রায় এক সপ্তাহ আগে। একসাথে বেশি মানুষের জমায়েত  হওয়া যায় না তাতে। দেশে এই রকম ব্যবস্থা নেয়ায় ত্রিপুরাই  একেবারে প্রথম দিকে।  বিষয় একটাই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণকে আটকে দেয়া। সদ্য প্রাক্তন  শিক্ষকরা  ওই সময়ে আন্দোলন করতে গিয়ে পর পর কয়েকদিন পুলিশের হাতে আটকও  হয়েছেন।

ভীড় এড়াতে যেখানে সম্ভব হয়েছে বাজার সরিয়ে খোলা জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। সবজি,দুধ,  ইত্যাদি ফিরি করাও শুরু হয়েছে ।

পরামর্শ এটাও আছে যে  প্রত্যেক দুইজনে এক মিটার করে দূরত্ব থাকে যেন। দোকানের সামনে, কোনও বাজারে সেরকম গোল গোল সাদা দাগ কাটাও হয়েছে, যেন দূরত্ব থাকে।

 

তারপরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কি !

এই সংক্রমণ আটকানোর ফান্ডে দান দিতে গিয়ে এক  ফ্রেমে সবাই একসাথে গাদাগাদি ছবি উঠেছেন।

সরাকারি-বেসরকারি  সাংবাদিক সম্মেলনে পাশাপাশি বসে পড়ছেন একাধিক জন।

মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রচুর মানুষ আইসোলেসন ইউনিটে ঢুকে পড়ার কথা স্বাস্থ্য সচিবের কাছেই জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা। সচিবও স্বীকার করেছেন  কারও কারও অতি উৎসাহের কথা।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে  ভীড় দেখা গেছে, সিঁদুর খেলা, ইত্যাদি হয়েছে। মূর্তি নিয়ে বিসর্জনের যাত্রায় ন্যূনতম যাদের দরকার তাদের বাইরেও মানুষ দেখা গেছে।

৫ এপ্রিল মোমবাতি জ্বালানোর জন্য মোম বিলি করাতেও দেখা গেছে, গা ঘেঁষাঘেঁষি  মানুষজন ছবিতে, কাছাকাছি হেঁটেই তা বিলিও হচ্ছে।

 

COMMENTS