ত্রিপুরায় এসেছিলেন ব্যবসা করতে। ব্যবসা তেমন কোনও বড় কিছু না। চৈত্র-সেলে বাড়ি বাড়ি ফিরি করে কাপড় বিক্রি। তারা ফিরিওয়ালা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা থেকে আগরতলায় এসেছিলেন তারা এগার জন। লকডাউনের কারণে ব্যবসা তো প্রথমেই মার খেয়েছে, কিছুই বিক্রি করতে পারেননি চৈত্র-সেলে আগরতলায়। দু’মাস ধরে আটকা পড়েছেন এই শহরে। বিভন্ন সংস্থা খাবার দিয়ে সাহায্য করছে। তাতে তিন বেলা খাবার জুটছে না।
খবর পেয়েছেন আমফানে পশ্চিমবঙ্গে ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। গত তিনদিনে বাড়ির সাথে যোগাযোগ হয়নি। শুধু শুনেছেন তাদের জেলাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করেছে এই ঘূর্ণিঝড় । মানুষগুলির একটাই আর্তি তাদের যেভাবেই হোক বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা। পাশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, জবাব পাওয়া যায়নি, সরকার তাদের ফিরিয়ে নেবে কিনা সেটাও জানায়নি তাদের, বলছেন তারা।
ক্যামেরার সামনে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন, প্রাণকৃষ্ণ সরকার, সুবল সরকার, প্রবীর ঘোষরা।
তাদের এখন একটাই চিন্তা, বাড়িঘরে সবাই সুস্থ আছেন কিনা!
করোনার চেয়েও আমফান নিয়ে তারা ভয়ে আছেন বেশি।
COMMENTS