ত্রিপুরায় দুই শিশুসহ আরও ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত। মোট আক্রান্ত ২৯।

ত্রিপুরায় আরও ১৩ জনের দেহে মিলল কোভিড-ওয়ান নাইন। এখন পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৯। যার মধ্যে ২৭ জনের চিকিৎসা চলছে।
সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নতুন করে ১৩ জন আক্রান্ত হবার খবর। তারা  সবাই বিএসএফ ১৩৮ ব্যাটালিয়নের। রয়েছে দুটি বাচ্চাও।
ত্রিপুরাতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর এসেছিল ৬ এপ্রিল। গোমতী জেলার  এক মহিলা। তারপর টিএসআর বাহিনীর এক জওয়ানকে পজিটিভ পাওয়া যায়। তাকে পাওয়া যায় ১০ এপ্রিল।  দু’জনেই জিবিপি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। তারা ফিরে যাবার পর ২৩ এপ্রিল রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল।

আজ নতুন করে ১৩ জন আক্রান্ত হবার খবর সামনে এসেছে। তারা সবাই ধলাই জেলার। ধলাই জেলা এখন  রেড জোন।  গতকাল ১২ জনকে পাওয়া গিয়েছিল। তার আগের দিন দু’জনের।

রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “”আমবাসা বিএসএফ ক্যাম্পের ভেতরে যারা রয়েছেন, যাদের স্যাম্পল নিয়ে টেস্টিং ক্রমাগত রাজ্য সরকার  করছে,  ১0২  স্যাম্পলের মধ্যে ১৩ করোনা পজিটিভ আবার নতুন করে পাওয়া গেছে।”

” আমাদের সচেতন থাকতে হবে,এবং  আমরা মোকাবিলা করব। তার মধ্যে একটি পজিটিভ দিক রয়েছে,  সেই কনেস্টবল বিএসএফ’র , যে জওয়ান ছিলেন, গন্ডাছড়া হসপিটালেও এডমিট ছিলেন এবং কুলাই হসপিটালেও এডমিট ছিলেন, গন্ডাছড়া যে বেস , সেখানেও গিয়েছিলেন, তো সেখানে সমস্ত যে স্যাম্পল নেয়া হয়েছিল, সব নেগেটিভ এসেছে, এবং যারা মেডিক্যাল স্টাফ রয়েছেন, তাদেরও ছিয়াত্তরটি স্যাম্পলের মধ্যে ষাট নেগেটিভ চলে এসছে, বাকী ষোলর প্রসেস গোয়িং অন রয়েছে,” বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আশা করেছেন, বাকীগুলিও নেগেটিভ আসবে। তার কথায়, আমবাসার বেস বিএসএফ’র ক্যাম্পের মধ্যেই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ আছে।

গতকাল যে নতুন বারো জনের আক্রান্ত হবার খবর এসেছিল, তাদের আজ সন্ধ্যার পর আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে আনা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

COMMENTS