ত্রিপুরায় দুই জেলায় আক্রান্ত পনের পুলিশ কর্মী। বন্ধ জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সি ও ফিমেল ওয়ার্ড।

ত্রিপুরায় দুই জেলায় আক্রান্ত পনের পুলিশ কর্মী। বন্ধ জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সি ও ফিমেল ওয়ার্ড।

খোয়াই জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সি এবং ফিমেল ওয়ার্ড বন্ধ আছে।তিনজন কোভিড রোগী ধরা পড়েছেন। স্যানিটাইজ করা হবে। কাল বিকাল পর্যন্ত বন্ধ। দু’জন ডাক্তার এবং দু’জন স্টাফ নার্স পাঁচ দিনের জন্য  হোম কোয়ারান্টাইনে,  পাঁচ দিনের মাথায় তাদের নমুনা নেয়া হবে কোভিড পরীক্ষার জন্য।

খোয়াই এবং গোমতী জেলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী করোনা সংক্রমণের কবলে পড়েছেন।

আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালের একজন কর্মী এই সংক্রমণে আক্রান্ত,  আইএলএস হাসপাতালের দু’জন রোগীও। দিন দুয়েক আগে আইজিএম হাসপাতালেও  রোগীও শনাক্ত হয়েছেন।

খোয়াই শহরে সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়ি বন্ধ করা হয়েছে গতকাল রাতে।
খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা বলেছেন, সুভাস পার্ক ফাঁড়ির ওসি সহ পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত। ফাঁড়িতে পুলিশ কর্মী রয়েছেন ২০ জন। বাকী ১৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টিনে। ফাঁড়িতে রয়েছে ট্রাফিক ইউনিট। ট্রাফিক কর্মী রয়েছেন ৩৫ জন। তাদেরও টেস্ট হবে।
কিছুদিন আগে একজনকে  এনএলএফটি ক্যাডার সন্দেহে  গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাকে খোয়াই থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। খোয়াই থানার সাত পুলিশ কর্মীকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টিনে।  একই ঘটনায় চাম্পাহাওর থানার ওসিসহ আট পুলিশ কর্মীকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টিনে।

গোমতী জেলার অম্পিনগর এবং তৈদু থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত। তৈদু থানার দু’জন এবং অম্পিনগর থানার আটজন আক্রান্ত। রয়েছেন  মহিলা কনস্টেবলও।  তাদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আজ কয়েকজনের টেস্ট হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে দুই থানার বাকি সব কর্মীর করোনা টেস্ট করানো হবে।  প্রাথমিকভাবে যারা এই আক্রন্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। দুই থানা স্যানিটাইজ করানো হয়েছে,  বলেছেন আম্পিনগরের এসডিপিও টুহিটন দেববর্মা।

জিবিপি হাসপাতালের এক কর্মী কোভিড পজিটিভ এসেছেন। কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। আইএলএস হাসপাতালের দুই রোগী শনাক্ত হয়েছেন কাল। আইজিএম’র রোগী দিন দুয়েক আগে। করোনা বিষয়ে যুক্ত স্বাস্থ্য দফতরের এক উপরের দিকের অফিসার নিশ্চিত করেছেন এই খবর। তার নাম উল্লেখ না করার শর্তেই এই খবর পাওয়া গেছে।
জেলাস্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার, পাওয়া যায়নি।

COMMENTS