মিটিঙ চলছে ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারে। প্রায় কারও মুখেই মাস্ক নেই। নেই প্রইয়োজনীয় শারীরিক দূরত্ব। একজন সরকারি আধিকারিকসহ দুইজনের মুখে শুধু মাস্ক দেখা গেছে ছবিতে।
‘যব তক কোই দাওয়াই নেহি, তব্ তক কোই ঢিলাই নেহি’— ফোন তুলতেই এই কথা এখনও রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিকম সংস্থা থেকে এখনও শোনাচ্ছে। ত্রিপুরায় এখনও নিয়মিত স্কুল-কলেজ হচ্ছে না। দিন দুই আগেও তথ্য-সংস্কৃতি দফতর থেকে কোভিড নিয়ন্ত্রণে সরকারের গাইডলাইন প্রচার করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, অফিসে যেন সবাই মাস্ক পরেন, স্যানিটাইজের ব্যবস্থা থাকে। যে অফিসে নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা আছে, সেখানে যেন কাউকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেয়া না হয়।
ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এবং উপজাতি কল্যান মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া’র সাথে মিজোরাম থেকে আসা উদ্বাস্তুদের মিটিঙ হয়েছে। তাদের সাথে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাও ছিলেন।
কারও মুখেই মাস্ক নেই। কোভিড বিধি মেনে নেই প্রয়োজনীয় দূরত্বও। গায়ে গায়ে চেয়ারে বসা সবাই। এক/দুইজনের মুখে শুধু মাস্ক।
প্রথম কোভিড রোগী ধরা পড়ার পর বহুদিন সময় পেয়েও এই রাজ্যে কোভিড তুমুল অবস্থা গেছে। ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল জিবিপি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার অন্য জায়গায় পাঠিয়ে সেই বিল্ডিং আটকে কোভিড চিকিৎসা চলেছে। এমআরআই বন্ধ ছিল, এমন অনেক কিছুই সমস্যা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই রাজ্যেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।কোভিডের বাড়াবাড়ি এখন ত্রিপুরায় কমছে। মৃত্যুহারও বাড়ছে না।
ত্রিপুরা সরকারের দ্বিতীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘরেই মাস্কহীন মিটিঙ ! ‘পজিটিভ ডিসকাসন’-এ শেষ সেটি হয়েছে বলে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকেও পাব্লিক প্লেসে মুখে মাস্কহীন দেখা গেছে।
COMMENTS